Ravi Hansda: জোয়ারে গা ভাসিও না… সন্তোষ জয়ী রবি হাঁসদাকে পরামর্শ রাজ্যের মন্ত্রীর

Manatosh Podder | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Jan 06, 2025 | 2:52 PM

Santosh Trophy: কেরলকে এ বারের সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে ১-০ হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে বাংলার হয়ে একমাত্র গোল রবি হাঁসদার।

Ravi Hansda: জোয়ারে গা ভাসিও না... সন্তোষ জয়ী রবি হাঁসদাকে পরামর্শ রাজ্যের মন্ত্রীর
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সন্তোষ জয়ী রবি হাঁসদাকে পরামর্শ রাজ্যের মন্ত্রীর

Follow Us

কলকাতা: রবি হাঁসদার (Ravi Hansda) একমাত্র গোলে আট বছরের প্রতীক্ষার পর বাংলায় ফিরেছে সন্তোষ ট্রফি। এই নিয়ে ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বাংলা। শুধু ভারতীয় দলের হয়ে খেলা নয়, তাঁকে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সন্তোষ ট্রফি জয়ী ফুটবলার রবি হাঁসদাকে সংবর্ধনা জানাল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। সোমবার সকালে বর্ধমানের টাউনহলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে রবিকে অবিভাবক হিসেবে পরামর্শও দেন স্বপন দেবনাথ।

টাউনহলের সংবর্ধনা সভায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বাংলার ফুটবলার রবিকে বলেন, ‘এখন সকলে সংবর্ধনা দেবে। সবই ঠিক আছে। কিন্তু খেলাটা ঠিক ভাবে চালিয়ে যেতে হবে। জোয়ারে গা ভাসালে হবে না।’ সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক আয়েশা রানী এ, পুলিশ সুপার সায়ক দাস, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, জেলাপরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, রবি হাঁসদার কোচ মুদ্রাজ সাডেন সহ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।

রবিবার গ্রামে ফেরেন সন্তোষ ট্রফি জয়ের নায়ক রবি। তারপর থেকেই তিনি আবেগে, ভালোবাসায় ভাসছেন। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার মুশারু গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় বাড়ি রবির। তাঁর বাবা সুলতান হাঁসদার স্বপ্ন ছিল যে, ছেলে একদিন অনেক বড় ফুটবলার হয়ে সকলের মুখ উজ্জ্বল করবে। রবি তাঁর বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। তবে ছেলের সাফল্য চোখে দেখে যাওয়া হয়নি সুলতান হাঁসদার। কারণ, ২০২৪ সালে জুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি।

এই খবরটিও পড়ুন

জনমুজরি করে সংসার চালাতেন রবি হাঁসদার বাবা। হৃদরোগের কারণে শেষের দিকে আর জনমজুরি করতে যেতে পারছিলেন না রবির বাবা। তাই ঋণ নিয়ে একটি টোটো কিনে ভাড়ায় তা খাটাতেন সুলতান। রবির মা তুলসী হাঁসদা জনমজুরি করে সংসারের হাল সামলাচ্ছেন। তবুও তুলসীদেবী ছেলেকে মাঠে কখনও কাজ করতে পাঠাননি। যাতে ছেলের অনুশীলনে ঘাটতি না হয়।

মুশারু আদিবাসীপাড়া মিলন সংঘ ক্লাবের মাঠে ফুটবলচর্চা করেন রবি। তাঁর যখন ৬-৭ বছর বয়স, সেই সময় থেকেই ওই মাঠে ফুটবল খেলা শুরু করেন রবি। আর্থিক অনটনের মধ্যেই ১২ বছর বয়সে তিনি ভাতারে একাদশ অ্যাথালেটিক্স ক্লাবের ফুটবল কোচিং ক্যাম্পে ভর্তি হন। এ বারের সন্তোষ ট্রফিতে সর্বাধিক গোলদাতা রবি। মরসুম জুড়ে করেছেন ১২টি গোল।

রবির কোচ মুদ্রাজ সেডেন বলেন, ‘রবি সারাদিনে ৬ ঘন্টা অনুশীলন করতো। আর তারই ফলে আজ ও এই জায়গায় পৌঁছেছে। এ বার চাই জাতীয় দলের জার্সি যেন রবির গায়ে ওঠে।’

Next Article