Sunil Chhetri: ‘শালাবাবু সব জানতো…’ সোনমের সঙ্গে প্রেম-পর্বে সুনীল ছেত্রীর ‘ট্রাম্পকার্ড’!
Sunil Chhetri Love Story: সুনীল ছেত্রীর জীবনে এই সাহেবই ছিলেন ট্রাম্পকার্ড। যিনি প্রথম দিন থেকে সোনম এবং সুনীলের সম্পর্কটা জানতেন। সুনীল নিজেই সেটা খোলসা করেছেন। সাহেব কী ভাবে তাঁদের প্রেমে সহযোগিতা করেছেন, সেটাও জানিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী। কী রয়েছে সেই অতীতে?
প্রত্যেকের জীবনেই বোধ হয় এমন একজন থাকেন। প্রেমিক-প্রেমিকার কমন একজন। যিনি সবটা জানেন। অনেক ভাবে সাহায্যও করেন। সুনীল ছেত্রীর প্রেমপর্বে সেই ট্রাম্প কার্ড সাহেব ভট্টাচার্য। এই নামটা অচেনা নয়। টলিউডের অতি পরিচিত নাম। তাঁর আরও একটা পরিচয়, সুব্রত ভট্টাচার্যর ছেলে। কলকাতা ময়দান হোক বা ভারতীয় ফুটবল। যাঁরা ফুটবলের একটু আধটুও খোঁজ রাখেন, সুব্রত ভট্টাচার্য তথা বাবলু দাকে চিনবেন না, এ হতেই পারে না। সুনীল ছেত্রীর জীবনে এই সাহেবই ছিলেন ট্রাম্পকার্ড। যিনি প্রথম দিন থেকে সোনম এবং সুনীলের সম্পর্কটা জানতেন। সুনীল নিজেই সেটা খোলসা করেছেন। সাহেব কী ভাবে তাঁদের প্রেমে সহযোগিতা করেছেন, সেটাও জানিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী। কী রয়েছে সেই অতীতে?
একটি অনুষ্ঠানে সোনমের সঙ্গে প্রেমের শুরু এবং নানা ঘটনাই তুলে ধরেছেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রী। সেখানেই তিনি বলেন, ‘সালটা বোধ হয় ২০০২-২০০৩। সদ্য মোহনবাগানে কেরিয়ার শুরু হয়েছে। আমার প্রথম কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য। সিজন তখনও শুরু হয়নি। আসলে কী হয়, যাঁরা জুনিয়র ফুটবলার, তাঁদের আগেভাগে ডেকে নেওয়া হয়। ফিটনেস এবং নানা ট্রেনিং চলে। নতুন মরসুমের আগে সুব্রত ভট্টাচার্যও আমাকে ফোন করে ডেকে পাঠায়।’
এরপরই গল্প শুরু। সুনীলের কথায়, ‘কোচ যখন ফোন করেছিল, সোনম দেখেছে। ফোন থেকে নম্বর চুরি করে আমাকে মেসেজ করে। আমি ইগনোর করি। কলকাতায় এটা নরম্যাল ব্যাপার। মোহনবাগানের মতো ক্লাবে খেলছি। তো আপনাকে প্রয়োজনের তুলনায়ও অনেক বেশি সম্মান দেওয়া হয়। আমার ক্ষেত্রেও তাই ছিল। মানে আমি তখন শুধুই একজন জুনিয়র প্লেয়ার। একাদশেও ঠিক ঠাক জায়গা করে নিতে পারিনি। কিন্তু মোহনবাগানের প্লেয়ার, আমার কাছে এমন মেসেজ অপ্রত্যাশিত নয়। শুরুর দিকে ইগনোরই করি। তারপর…।’
প্রেমপর্ব চলল কী করে! সুনীল বলেন, ‘একটা জিনিস বুঝতে পেরেছিলাম, সব কিছু থেকে বাঁচতে হলে, কোনও ভাবেই এটা প্রকাশ্যে আনা যাবে না। কখনও খোলাখুলি দেখা করতাম না, রেস্তোরাঁয় যেতাম না। সিনেমা দেখতে গেলে, তখন তো অনলাইনের ব্যাপার ছিল না, তো দুটো টিকিট কাটা হত। একটা আমার কাছে আসতো, আর একটা কোনও ভাবে সোনমের কাছে। আমি হয়তো পাঁচ মিনিট আগে ঢুকতাম, তারপর সোনম। আমি আগে বেরোতাম, ও তারপর। এরপর আমি অন্য শহরে চলে গেলাম, দেখা করাটা আরও কঠিন হয়ে গেল। এখন হলে রিলেশনশিপ থাকত কিনা, বোঝা কঠিন।’
কিন্তু সাহেবকে কে বলেছিলেন! সুনীল বলেন, ‘ওকে সোনমই জানিয়েছিল। আসলে সাহেব আর আমার কেরিয়ার প্রায় একই সময় শুরু। এখন ও আমার শ্যালক হলেও, শুরু থেকে আমরা খুব ভালো বন্ধুও। ও অ্যাঙ্করিং করত। আমি খেলা শুরু করি। আমরা একই বয়সি। তো আমাদের দেখা হত। ও জানতো যে সোনম আমাকে পছন্দ করে, আমিও। ও আসলে আমাদের ট্রাম্পকার্ড ছিল। সোনমের সঙ্গে যদি প্রকাশ্যে দেখা করার হত, তা হলে সাহেবই সোনমকে নিয়ে আসত। কোচ জানতো ভাই বোন যাচ্ছে। আরও অনেক বন্ধু থাকত। কোচ জানতো আমি সাহেবের বন্ধু। সে কারণেই আমাদের সমস্যা হত না। যখন দেখা করার কোনও উপায় থাকত না, সাহেবই নিয়ে আসতো সোনমকে। রেস্তোরাঁ বা এখানে ওখানে দেখা করতাম। এ ছাড়া আমরা আলাদা দেখা করার ঝুঁকি নিতাম না। তখন জানাজানি হলে কী হত, জানি না।’