ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন অর্থাৎ ইসরো- র ‘গগনযান’ মিশনের অন্যতম হল ‘বিকাশ ইঞ্জিন’। এই ইঞ্জিনেরই পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি এই ‘বিকাশ ইঞ্জিন’- এর তৃতীয়বারের পরীক্ষা নিরীক্ষাও সফল হয়েছে। ১৪ জুলাই এই বিকাশ ইঞ্জিনের third long-duration hot test হয়েছে। আর এই পরীক্ষা সফল ভাবে পাশ করেছে the liquid propellant ‘বিকাশ ইঞ্জিন’। ইসরোর এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ সংস্থা টেসলা- র প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কও। ‘বিকাশ ইঞ্জিন’- এর তৃতীয়বার সফল পরীক্ষার পরে ইসরো- কে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন ওই ধনকুবের।
উল্লেখ্য, ইসরো- র ‘গগনযান’ মিশনের অন্যতম অংশীদার হল এই ‘বিকাশ ইঞ্জিন’। কারণ এই ইঞ্জিনের সাহায্যে ইসরো- র এই মিশনের লঞ্চ বা সূচনা হবে। তাই the liquid propellant ‘বিকাশ ইঞ্জিন’ ঠিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। জানা গিয়েছে, ১৪ জুলাই বুধবার এই liquid propellant ‘বিকাশ ইঞ্জিন’- এর তৃতীয়বার পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে core L110 liquid stage- এর জন্য। GSLV MkIII vehicle- এর অন্তর্ভুক্ত core L110 liquid stage- এ ‘বিকাশ ইঞ্জিন’ সঠিক ভাবে কাজ করছে কি না, তা দেখার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। ‘গগনযান’ মিশনের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় খুঁটিনাটির মধ্যে অন্যতম হল এই ইঞ্জিন কোয়ালিফিকেশন রিকোয়ারমেন্ট। তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরি এলাকায় রয়েছে ইসরো- র Propulsion Complex (IPRC)। সেখানে ২৪০ সেকেন্ড ধরে উত্তপ্ত করা হয়েছিল ‘বিকাশ ইঞ্জিন’- কে। পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে ইসরো- র তরফে।
দেখুন ইলন মাস্কের শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো টুইট
Congratulations! ??
— Elon Musk (@elonmusk) July 14, 2021
বিবৃতিতে ভারতীয় স্পেস অর্গানাইজেশন আরও জানিয়েছে যে, এই ‘বিকাশ ইঞ্জিন’ সমস্ত টেস্ট অবজেকটিভসের ক্ষেত্রে সফল ভাবে পাশ হয়েছে। এই পরীক্ষার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা যেসমস্ত তথ্য আগাম অনুমান করেছিলেন, সেই সবই মিলে গিয়েছে ‘বিকাশ ইঞ্জিন’- এর সঙ্গে।
গগনযান মিশনের লক্ষ্য হল লো আর্থ অরবিটে মানুষ অর্থাৎ নভশ্চরদের পাঠানো। ভারতে তৈরি মহাকাশযানে করেই এই লো আর্থ অরবিটে যাবেন নভশ্চরা। আবার ফিরেও আসবেন পৃথিবীতে। ইসরো- র দ্বারা যে এই মিশন সম্ভব, সেটাই গোটা দুনিয়াকে এবার দেখানোর পালা। চারজন ভারতীয় নভশ্চর ইতিমধ্যেই জেনেরিক স্পেস ফ্লাইট ট্রেনিং নিচ্ছেন রাশিয়াতে। গগনযান প্রোগ্রামের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় এই প্রশিক্ষণ।
আরও পড়ুন- Phobos: নাসার ছবিতে ধরা পড়ল মঙ্গলগ্রহের বৃহত্তম এবং কাছাকাছি থাকা ‘natural satellite’