Phobos: নাসার ছবিতে ধরা পড়ল মঙ্গলগ্রহের বৃহত্তম এবং কাছাকাছি থাকা ‘natural satellite’
ইনস্টাগ্রামের পোস্টে মার্কিন স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, এই Phobos- এর ছবি তোলা হয়েছে HiRISE ক্যামেরার সাহায্যে। Mars Reconnaissance Orbiter spacecraft- এর মধ্যে রয়েছে এই বিশেষ ক্যামেরা।
দেখতে ঠিক একটা বড় আলুর মতো। একঝলক দেখলে এমনটাই মনে হবে নাসার শেয়ার করা সাম্প্রতিক একটি ছবির ক্ষেত্রে। তবে একটু ভাল ভাবে ঠাহর করলে ওই ছবিতে আলুর মতো দেখতে প্রস্তর খণ্ডের গায়ে বেশ কিছু গর্ত বোঝা যাবে। জানা গিয়েছে, যে ক্যামেরা দিয়ে সৌর জগতের এই ছবি তোলা হয়েছে, সেটি প্রথম এমন শক্তিশালী ক্যামেরা যা পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে পাঠানো হয়েছে। ইনস্টাগ্রামে নাসা যে ছবি শেয়ার করেছে, জানা গিয়েছে সেটি আসলে Phobos। এই Phobos হল মঙ্গলগ্রহের দু’টি ন্যাচারাল স্যাটেলাইটের মধ্যে সবচেয়ে কাছের এবং বৃহত্তম। একে আবার Mars’ raggedy moons বলা হয়। অর্থাৎ মঙ্গলগ্রহের সবচেয়ে কাছাকাছি থাকা এবং বৃহত্তম ন্যাচারাল স্যাটেলাইট হল এই Phobos। মঙ্গলগ্রহ বা লালগ্রহের আর একটি raggedy moon- এর নাম Deimos।
ইনস্টাগ্রামের পোস্টে মার্কিন স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, এই Phobos- এর ছবি তোলা হয়েছে HiRISE ক্যামেরার সাহায্যে। Mars Reconnaissance Orbiter spacecraft- এর মধ্যে রয়েছে এই বিশেষ ক্যামেরা। মঙ্গলগ্রহ থেকে ৬৮০০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করছে এই অরবিটার স্পেসক্র্যাফট। নাসা জানিয়েছে, প্রতি শতকে Phobos ১.৮ মিটার করে মঙ্গলগ্রহের কাছাকাছি এগোচ্ছে। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা হয়তো ৫০ মিলিয়ন বছরের মধ্যে এই Phobos মঙ্গলগ্রহে আছড়ে পড়বে। অথবা সংঘর্ষের ফলে একটি ring of debris- এ পরিণত হবে।
ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা নাসার ছবি
View this post on Instagram
Phobos- এর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য
- এখানে কোনও বায়ুমণ্ডল নেই।
- দিনে তিনবার মঙ্গলগ্রহের চারপাশে কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করে এই Phobos।
- ১৮৭৭ সালে মার্কিন জ্যোতির্বিদ Asaph Hall এই Phobos আবিষ্কার করেন।
- নাসার মতে এই Phobos হয়তো কোনও captured asteroid। যদিও কিছু সংখ্যক বিজ্ঞানী এই ধারনা নস্যাৎ করেছেন।
- গ্রিক পুরাণ অনুযায়ী, Phobos এবং Deimos আসলে Ares (রোমান মাইথোলজিতে মার্সকে বলা হয় Ares)- এর যমজ পুত্র সন্তান।
নাসা জানিয়েছে, Phobos- এর ছবিতে যে গহ্বর বা গর্তের মতো গঠন দেখা গিয়েছে, তাকে বলে Stickney crater। গণিত বিশারদ Chloe Angeline Stickney Hall- এর নামানুসারে এইসব গহ্বরের নামকরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, নাসার মতে, দিন এবং রাতের উষ্ণতার তারতম্য Phobos মধ্যে বেশ কিছু অন্যরকম বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়ার অন্যতম কারণ। কারণ এখানকার সর্বোচ্চ উষ্ণতা -৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -১১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও মঙ্গলগ্রহের এই Phobos- এর উপর টানের কারণেও গঠনে পরিবর্তন হয়। এই কারণেই বিভিন্ন ছোট-বড় গর্ত, গহ্বর, লার্জ ইমপ্যাক্ট বেসিন, টাইডাল ফোর্স এবং মিউচুয়াল গ্র্যাভিটেশনাল পুলের স্পষ্ট ছাপ দেখা গিয়েছে Phobos- এর উপর।
আরও পড়ুন- চাঁদের প্রদক্ষিণের কারণে ২০৩০ সালে ভয়াবহ বন্যা হতে পারে পৃথিবীতে! অনুমান নাসার