Blue Lobster: 20 লাখে একটা মেলে, মাছ ধরতে গিয়ে নীল গলদা চিংড়ির সন্ধান পেলেন বাপ-ছেলে, কেন এমন বিরল রং, জানুন

Rare Blue Lobster Caught: মাছ ধরতে গিয়ে নীল রঙের বিরল গলদা চিংড়ির সন্ধান পেলেন এক বাবা ও তাঁর ছেলে। সেই গলদা চিংড়িটিকে তাঁরা খাবেন না। নিজেদের রেস্তোরাঁর একটি ট্যাঙ্কেই সেটিকে সাজিয়ে রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

Blue Lobster: 20 লাখে একটা মেলে, মাছ ধরতে গিয়ে নীল গলদা চিংড়ির সন্ধান পেলেন বাপ-ছেলে, কেন এমন বিরল রং, জানুন
এমন নীল রঙা কাঁকড়া আগে কখনও দেখেছেন?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 18, 2022 | 4:17 PM

Rare Blue Lobster: মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাবা ও তাঁর সন্তান পেলেন বিরল নীল গলদা চিংড়ি, যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। গলদা চিংড়ি, তার আবার নীল রং, কীভাবে সম্ভব? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেইন রাজ্যের দক্ষিণ উপকূলে এই ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি। বাবা র‌্যান্ড মার্ক ও তাঁর পুত্র লুক র‌্যান্ড জানিয়েছেন যে, এই গলদা চিংড়ি তাঁরা খাবেন না, কাউকে খেতেও দেবে না। পরিবর্তে এটি রাখা থাকবে তাঁদেরই রেস্তোরাঁর একটি ট্যাঙ্কে। পোর্টল্যান্ডের ওই রেস্তোঁরাটি চালান মার্ক র‌্যান্ডের স্ত্রী। পোর্টল্যান্ডের প্রেস হেরাল্ডের কাছে লুক জানিয়েছেন, এই ধরনের বিরল রঙের গলদা চিংড়ি তিনি আগে দেখেননি। গত বৃহস্পতিবার কাসকো উপসাগরের পিকস দ্বীপে এই গলদা চিংড়িটি ধরা পড়েছিল।

গত 20 বছর ধরে মাছ ধরছেন লুক। ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে নৌকাবিহারে বেরোতেন তিনি। আর লুকের বাবা মার্ক গত 40 বছর ধরে মাছ ধরছেন। স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, গলদা চিংড়িটি সুস্থ ছিল এবং এটি একটি পুরুষ গলদা চিংড়ি। রেস্তোরাঁয় নিয়ে যাওয়ার আগে গলদা চিংড়িটিকে খাইয়ে তার যথেষ্ট যত্নও নেন লুক ও তাঁর বাবা মার্ক। ইউনিভার্সিটি অফ মেইন লবস্টার ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, প্রায় 20 লাখ গলদা চিংড়ির মধ্যে এমন নীল রঙা বিরল গলদা চিংড়ি মাত্র একটাই মিলতে পারে।

লুক জানিয়েছেন যে, তাঁদের রেস্তোঁরায় নৈশভোজে অংশগ্রহণকারীদের আকৃষ্ট করবে এই গলদা চিংড়ি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, একটা গলদা চিংড়ির রং নীল কীভাবে হতে পারে? বেশির ভাগ গলদা চিংড়িই বাদামি হয়। তবে তারা কখনও আবার সবুজ, হলুদ, কমলা, সাদা, এমনকী নীলও হতে পারে, এতটাই বৈচিত্র্যময় হয় এরা। নির্দিষ্ট একটি প্রোটিনের অত্যধিক পরিমাণ গলদা চিংড়িগুলির শরীরে একটি জেনেটিক ত্রুটির সৃষ্টি করে। তার কারণেই তাদের রং কখনও নীল বা অন্যান্য নানা রঙের হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।

এই তো কয়েকদিন আগেই আবার পাপুয়া নিউ গিনির উপকূলে একজন স্কুবা ডাইভার আশ্চর্যজনক একটি জেলিফিশ দেখেছিলেন, যা সম্পূর্ণ ভাবে একটি নতুন প্রজাতির। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রাণীটিকে এর আগে কখনও দেখেননি তাঁরা। তারপরে জানা যায়, 1997 সালে এই ধরনের জেলিফিশের প্রজাতি প্রথম বার দেখা যায়। পাপুয়া নিউ গিনির নিউ আয়ারল্যান্ড প্রদেশের কাউইংয়ে স্কুবা ভেঞ্চারসের মালিক ডোরিয়ান বোরচার্ডস যখন সাঁতার কাটতে জলে নেমেছিলেন তখন এই প্রাণীটিকে উদ্ধার করেন।