Chandannagar: রেললাইনের ২০০ মিটার ‘ছেলেদের’ কাঁধে চড়েই যান মা, চন্দননগরের ব্যতিক্রমী বিসর্জনের ছবি
চন্দননগর রেলস্টেশনের পশ্চিমপাড়ের বিসর্জন মোটেই একই নিয়ম মেনে হয় না। গঙ্গা পূর্ব দিকে হওয়ায় পশ্চিম পাড়ের সব প্রতিমাকেই নিরঞ্জনের সময় পেরোতে হয় রেল লাইন। কারণ এখানের প্রতিমা আকারে এতটাই বড় হয় যে রেলস্টেশনের সাবওয়ে দিয়ে নিয়ে যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হয় না
চন্দননগর: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর সেই পার্বণ মাঝেই অন্যতম জগদ্ধাত্রী পুজো। বিশেষ করে চন্দননগরের পুজো। শুধু আলোকসজ্জা বা মণ্ডপ-প্রতিমার টানে না, জগদ্ধাত্রী নিরঞ্জন দেখতেও ফরাসডাঙায় ভিড় জমান বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই প্রায় সকলেরই জানা, চন্দননগরে কেমন করে নম্বর মেনে লাইন করে চলে শোভাযাত্রা। যদিও এর মাঝেও ব্যতিক্রম আছে। বিশেষ করে চন্দননগর রেলস্টেশনের পশ্চিমপাড়ের বিসর্জন মোটেই একই নিয়ম মেনে হয় না। গঙ্গা পূর্ব দিকে হওয়ায় পশ্চিম পাড়ের সব প্রতিমাকেই নিরঞ্জনের সময় পেরোতে হয় রেল লাইন। কারণ এখানের প্রতিমা আকারে এতটাই বড় হয় যে রেলস্টেশনের সাবওয়ে দিয়ে নিয়ে যাওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হয় না।
এই যেমন চন্দননগর উত্তরপাড়ার সুভাষপল্লীর পুজো, এ বছর পা দিল ৪১তম বছরে। প্রতিমা বিসর্জনের সময় একটি বাঁশের খাঁচা তৈরি করা হয়েছিল প্রতিবারের মতোই। সেই খাঁচায় করেই ক্লাবের ছেলেরা কাঁধে তুলে রেললাইন পার করিয়ে দেয় মা জগদ্ধাত্রীকে। রেললাইন পেরিয়ে রাখা থাকে লরি, তাতে করেই সোজা গঙ্গায়। মা কীভাবে রেললাইন পেরোয় তা দেখার জন্যও ভিড় জমায় মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্য়ের হাত বাড়িয়ে দেন আরপিএফ ও জিআরপি। প্রসঙ্গত, দেবী জগদ্ধাত্রীর এই রেললাইন পেরোনোর সময় সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে হাওড়া-বর্ধমান মেন লাইনের ট্রেন চলাচল। মা লাইন পেরিয়ে গেলেই স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।