সুন্নি মুসলিমের হাতে ক্ষমতা, তাতেও থামছে না হিংসা, ফের কি সদ্দাম হুসেন হতে চলেছে সিরিয়ার শাসক?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সোমনাথ মিত্র

Mar 19, 2025 | 6:55 PM

সিরিয়ার নতুন সরকারের মদতে শুরু হয়েছিল গণহত্যা। টার্গেট মূলত বাসার-অল-আসাদের সমর্থক-অনুগামীরা। আসাদ জমানার সেনা অফিসার ব্রিগেডিয়ার গিয়াথ ডাল্লার নেতৃত্বে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মিলিটারি কাউন্সিল ফর দ্য লিবারেশন অফ সিরিয়া নামে একটা সংগঠনও তৈরি করা হয়েছে।

Follow Us

পশ্চিম এশিয়ায় হিংসা বন্ধের কোনও লক্ষণই নেই। সিরিয়া-লেবানন বর্ডারে দু-দেশের প্রায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। হতাহতদের মধ্যে কতজন সেনা আর কতজন সাধারণ নাগরিক, সেটা স্পষ্ট নয়। সিরিয়ার নতুন শাসকেরা সুন্নি মুসলিম। আগের বাসার অল-আসাদের জমানায় শাসনক্ষমতা মূলত ছিল শিয়াদের হাতে। পড়শি দেশ লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লার সঙ্গে আসাদের আর্মি অফিসারদের ওঠাবসা ছিল। ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ায় হিজবুল্লা এখন একটু হলেও দম ফেলার ফুসরত পেয়েছে। এবার তারা নজর দিয়েছে সিরিয়ার দিকে। উদ্দেশ্যে সিরিয়ার নতুন সরকারকে উত্‍খাত করা।

পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো গত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে খবর করছিল। সিরিয়ার নতুন সরকারের মদতে শুরু হয়েছিল গণহত্যা। টার্গেট মূলত বাসার-অল-আসাদের সমর্থক-অনুগামীরা। আসাদ জমানার সেনা অফিসার ব্রিগেডিয়ার গিয়াথ ডাল্লার নেতৃত্বে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মিলিটারি কাউন্সিল ফর দ্য লিবারেশন অফ সিরিয়া নামে একটা সংগঠনও তৈরি করা হয়েছে। যার পিছনে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লা। এবার হিজবুল্লা সরাসরি সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ায় ঢুকে পড়ল। সিরিয়ার নতুন সরকার এমনই দাবি করেছে। তাদের অভিযোগ সিরিয়ায় ঢুকে সিরিয়ার তিন সেনাকর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে হিজবুল্লা। তারা সিরিয়ায় মিসাইলও ছুড়েছে। পাল্টা সিরিয়া থেকেও মিসাইল এসে পড়েছে লেবাননে। সিরিয়ার সেনা শিয়া গ্রামে ঢুকে খুন-জখম শুরু করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাদের হামলায় সাত লেবানিজের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

হিজবুল্লা বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে তারা সিরিয়ায় ঢোকেনি। প্ররোচনা সবার প্রথম সিরিয়া থেকেই এসেছে। হিজবুল্লাকে এগিয়ে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে হাতা গোটাচ্ছে ইরানও। দেখুন, বাসার-অল-আসাদ প্রোগ্রেসিভ মাইন্ডের লোক ছিলেন। কিন্তু, তার মানে বিরোধীদের কোতল করার অধিকার পেয়ে যাওয়া নয়। তাই, একদিন না একদিন আসাদকে যেতেই হতো। তিনি সরে গিয়েছেন। তাঁর জায়গায় যিনি এসেছেন, সেই আল-শারা দেশে ভোট করানোর কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছেন না। বরং সিরিয়ায় নতুন স্বৈরাচার শুরুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আসলে কী জানেন, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না বলে প্রায় সব স্বৈরশাসকেরই একই পরিণতি হয়। সাদ্দাম হুসেন থেকে রাজাপক্ষে ভাইয়েরা। মুয়াম্মর গদ্দাফি থেকে বেন আলি। সময় কাউকে ছাড়েনি।

পশ্চিম এশিয়ায় হিংসা বন্ধের কোনও লক্ষণই নেই। সিরিয়া-লেবানন বর্ডারে দু-দেশের প্রায় ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা পঞ্চাশের বেশি। হতাহতদের মধ্যে কতজন সেনা আর কতজন সাধারণ নাগরিক, সেটা স্পষ্ট নয়। সিরিয়ার নতুন শাসকেরা সুন্নি মুসলিম। আগের বাসার অল-আসাদের জমানায় শাসনক্ষমতা মূলত ছিল শিয়াদের হাতে। পড়শি দেশ লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজবুল্লার সঙ্গে আসাদের আর্মি অফিসারদের ওঠাবসা ছিল। ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ায় হিজবুল্লা এখন একটু হলেও দম ফেলার ফুসরত পেয়েছে। এবার তারা নজর দিয়েছে সিরিয়ার দিকে। উদ্দেশ্যে সিরিয়ার নতুন সরকারকে উত্‍খাত করা।

পশ্চিম এশিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলো গত কয়েকদিন ধরেই এই নিয়ে খবর করছিল। সিরিয়ার নতুন সরকারের মদতে শুরু হয়েছিল গণহত্যা। টার্গেট মূলত বাসার-অল-আসাদের সমর্থক-অনুগামীরা। আসাদ জমানার সেনা অফিসার ব্রিগেডিয়ার গিয়াথ ডাল্লার নেতৃত্বে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মিলিটারি কাউন্সিল ফর দ্য লিবারেশন অফ সিরিয়া নামে একটা সংগঠনও তৈরি করা হয়েছে। যার পিছনে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লা। এবার হিজবুল্লা সরাসরি সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ায় ঢুকে পড়ল। সিরিয়ার নতুন সরকার এমনই দাবি করেছে। তাদের অভিযোগ সিরিয়ায় ঢুকে সিরিয়ার তিন সেনাকর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে হিজবুল্লা। তারা সিরিয়ায় মিসাইলও ছুড়েছে। পাল্টা সিরিয়া থেকেও মিসাইল এসে পড়েছে লেবাননে। সিরিয়ার সেনা শিয়া গ্রামে ঢুকে খুন-জখম শুরু করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। তাদের হামলায় সাত লেবানিজের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

হিজবুল্লা বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে তারা সিরিয়ায় ঢোকেনি। প্ররোচনা সবার প্রথম সিরিয়া থেকেই এসেছে। হিজবুল্লাকে এগিয়ে দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে হাতা গোটাচ্ছে ইরানও। দেখুন, বাসার-অল-আসাদ প্রোগ্রেসিভ মাইন্ডের লোক ছিলেন। কিন্তু, তার মানে বিরোধীদের কোতল করার অধিকার পেয়ে যাওয়া নয়। তাই, একদিন না একদিন আসাদকে যেতেই হতো। তিনি সরে গিয়েছেন। তাঁর জায়গায় যিনি এসেছেন, সেই আল-শারা দেশে ভোট করানোর কোনও লক্ষণ দেখাচ্ছেন না। বরং সিরিয়ায় নতুন স্বৈরাচার শুরুর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। আসলে কী জানেন, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না বলে প্রায় সব স্বৈরশাসকেরই একই পরিণতি হয়। সাদ্দাম হুসেন থেকে রাজাপক্ষে ভাইয়েরা। মুয়াম্মর গদ্দাফি থেকে বেন আলি। সময় কাউকে ছাড়েনি।