Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Joe Biden: কী হয়েছে জো বাইডেনের? স্ত্রী ভেবে অন্য মহিলাকে...! ভাইরাল ভিডিয়ো

Joe Biden: কী হয়েছে জো বাইডেনের? স্ত্রী ভেবে অন্য মহিলাকে…! ভাইরাল ভিডিয়ো

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Jul 21, 2024 | 4:53 PM

ভিডিয়োটা গতকাল সামনে আসতেই মুহূর্তে ভাইরাল। কোটি কোটি আমেরিকান এটা দেখে ফেলেছেন। ডেমোক্র্যাটরা পড়েছেন চরম অস্বস্তিতে। হোয়াইট হাউসে একটা অনুষ্ঠান ছিল। গাঢ় নীল রঙের পোশাকে সোনালী চুলের যে মহিলাকে দেখছেন, তিনি সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। আর হালকা নীল রঙের পোশাকে সোনালী চুলের মহিলা জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন।

ভিডিয়োটা গতকাল সামনে আসতেই মুহূর্তে ভাইরাল। কোটি কোটি আমেরিকান এটা দেখে ফেলেছেন। ডেমোক্র্যাটরা পড়েছেন চরম অস্বস্তিতে। হোয়াইট হাউসে একটা অনুষ্ঠান ছিল। গাঢ় নীল রঙের পোশাকে সোনালী চুলের যে মহিলাকে দেখছেন, তিনি সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন। আর হালকা নীল রঙের পোশাকে সোনালী চুলের মহিলা জো বাইডেনের স্ত্রী জিল বাইডেন। বলা হচ্ছে যে নিজের স্ত্রী ভেবে গাঢ় নীল রঙের পোশাকের মহিলাকে চুমু খেতে যান বাইডেন। স্বামী যে বড় গোলমাল করে ফেলতে চলেছেন সেটা বুঝে দৌড়ে এসে জো-কে আটকান তাঁর স্ত্রী জিল। একাশি বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভুলে যাওয়া, কথার খেই হারিয়ে ফেলা নিয়ে মার্কিন মুলুকে এখন রঙ্গ রসিকতার ছড়াছড়ি। বাইডেন এখনই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।ডেমোক্র্যাটদের একটা অংশই এখন এটা চাইছে। তার মধ্যেই এই ভাইরাল ভিডিও যেন কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিয়ে গেছে। হলোই বা এটা মার্চ মাসের ভিডিয়ো। দেখুন, চার বছর আগে বাইডেন যখন হোয়াইট হাউসে পা রাখেন, তখন তিনি সাতাত্তর। গত কয়েকবছরে একাধিকবার নানা গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টে তাঁকে ঘুমিয়ে পড়তে দেখেছে আমেরিকা। রিপাবলিকানরা তো দেশের প্রেসিডেন্টের একটা নিক নেমই দিয়ে দেন। স্লিপি জো। বয়সের কারণে বাইডেন কি আদৌ ফের একবার সাদা বাড়ির দৌড়ে নামার জায়গায় আছেন। এই প্রশ্ন তাই শুরু থেকেই ছিল। যদিও, বাইডেন নিজে ছিলেন অনড়। ডাক্তারদের ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে নেমে পড়েন ভোটের লড়াইয়ে। সিটিং প্রেসিডেন্টকে না বলতে পারেননি সিনিয়র ডেমোক্র্যাট নেতানেত্রীরা। তবে, গত ২৭ জুন বড়সড় গোল বাধিয়ে বসেন বাইডেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ছিল ফার্স্ট প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। দেখা যায়, বাইডেনের কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের প্রশ্নের উত্তরে সহজ যুক্তিও দিতে পারছেন না তিনি। তাঁর এই দুর্বলতাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ট্রাম্পও। দলের মধ্যেই দাবি ওঠে, সরে দাঁড়ান বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জবাব দেন, আমি আগের মত কথা বলতে পারি না। আগের মত তর্ক করতে পারি না, ঠিকই। তবে আমি এখনও সত্য কথা বলতে পারি। শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হলে প্রেসিডেন্ট পদে লড়তাম না। কিন্তু, তারপর থেকে গত কয়েকদিনে পরপর ফপা। কী কী-ই না বললেন বাইডেন। আমি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেছেন। ন্যাটোর বৈঠকে জেলেনস্কির সামনেই পুতিনকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বানিয়ে দিয়েছেন। সেইখানেই কমলা হ্যারিসের সামনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট করে দিয়েছেন। কয়েকদিন পর মার্কিন জনতাকে ব্যালটের বদলে বুলেট বক্সে ভোট দিতে বলেছেন। আর সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল এই ভাইরাল ভিডিও। বেশ কয়েকজন ডেমোক্র্যাট সেনেটর প্রকাশ্যেই নির্বাচন থেকে বাইডেনকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে খবর, হাউসের প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসিও একান্ত আলোচনায় বাইডেনকে বলেছেন, আপনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলে আমরা ট্রাম্পকে হারাতে পারব না। ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, বারাক ওবামাও তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছেন ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা উচিত বাইডেনের। অভিনেতা জর্জ ক্লুনি ডেমোক্র্যাটদের অন্যতম ফান্ডরাইজার। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, আমি বাইডেনকে শ্রদ্ধা করি। তবে, বয়স যে কাউকে ছাড়ে না, সেটা মেনে নিয়ে ওঁর নিজে থেকেই সরে যাওয়া উচিত। বাইডেন ভোটে দাঁড়ালে আমরা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তো হারবই। পরে হাউজ ও সেনেটের ভোটেও হারবো। এর মধ্যেই আবার কোভিডে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে যেতে হয়েছে বাইডেনকে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমে খবর, এখন বাইডেনের পরিবারই চাইছে না যে তিনি ভোটে লড়াই করুন। ডেমোক্র্যাট শিবিরে নতুন প্রার্থীর খোঁজ চলছে। তবে, এখন প্রার্থী বদল করলে তার প্রভাব যাতে ভোটবাক্সে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে গিয়ে মাথার চুল ছিঁড়ছে তারা। এ অবস্থায় বাইডেনের বিকল্প হিসাবে দুটো নাম উঠে আসছে। এক নম্বরে কমলা হ্যারিস। দু-নম্বরে মিশেল ওবামা। প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হয়ে কমলা হ্যারিস যদি ভোটে যেতেন। তাহলে ডাউনিং স্ট্রিটের পর হোয়াইট হাউসেও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে দেখবো আমরা। আরেকটা কথাও আমি বলবো। কান ছুঁয়ে গুলি বেরিয়ে যাওয়ার পর আমেরিকায় হিরো হয়ে গেছেন ট্রাম্প। জনমত সমীক্ষা বলছে স্যুইং স্টেটগুলোর সত্তর শতাংশ মানুষ তাঁকে চাইছেন। সহানূভুতির ভোটে বাজিমাতের ইতিহাস মনে করে ডেমোক্র্যাটরা এখন বাইডেনের বদলে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কমবয়সি শক্ত প্রার্থী খুঁজছেন।

Published on: Jul 20, 2024 11:44 PM