Pandua News: সাপের কামড় থেকে বাঁচতে নয়া প্রযুক্তি
বর্ষার ভারা মরশুমে আমন ধানে ওষুধ দিতে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। ধান গাছ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সাপের উপদ্রব। কৃষিতে উন্নতি সাধনের পথে এক ধাপ এগিয়ে এলো পান্ডুয়া কৃষি বিপ্লব এগ্রো প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড। কেন্দ্র সরকার অনুমোদিত ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কাজ করছে এই FPO
বর্ষার ভারা মরশুমে আমন ধানে ওষুধ দিতে সমস্যায় পড়েন কৃষকরা। ধান গাছ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সাপের উপদ্রব। কৃষিতে উন্নতি সাধনের পথে এক ধাপ এগিয়ে এলো পান্ডুয়া কৃষি বিপ্লব এগ্রো প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেড। কেন্দ্র সরকার অনুমোদিত ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় কাজ করছে এই FPO।
হুগলি জেলা জুড়ে এক লক্ষের অধিক হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে এবছর। বর্ষায় আমন ধানে ওষুধ দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় কৃষকদের।ধান গাছ বড় হতেই জমিতে নামতে ভয় পান অনেক কৃষক। কীটনাশক স্প্রে করতে গিয়ে অনেকে সাপের কামড়ের শিকার হন। সমস্যা সমাধানে চাষের কাজে প্রযুক্তিতে কাজে লাগাতে চাইছে কৃষকরা। একদিকে যেমন সাপের কামড় থেকে রক্ষা পাবে অন্যদিকে কৃষি কাজে খরচ কমবে অনেকটাই। এক বিঘা জমিতে অল্প সময়ের মধ্যে ড্রোন ব্যবহার করে কীটনাশক স্প্রে করা যাবে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা সহ অন্যান্য রাজ্যে ব্যাপক ড্রোনের মাধ্যমে চাষ হয়। পান্ডুয়ার বেশ কিছু কৃষক সংস্থা এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ড্রোন চালানো শেখা ও ওষুধ দেয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন গ্রামে পরিদর্শনের সুযোগ করে দিচ্ছে। এক একর জমি স্প্রে করতে খরচ পড়বে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ড্রোন কিনতে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদের জন্য তিন লক্ষ টাকা ভর্তুকি রয়েছে। আবার এফপিও অধীনে যদি কোন ফার্মার ইন্টারেস্টটেড গ্রুপ তারা যদি এই ড্রোন কিনতে চায় তাদের জন্যও রয়েছে ৮০ শতাংশ ভর্তুকি। লোনের সুবিধাও রয়েছে। AIF অর্থাৎ এগ্রিকালচার ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ড স্কিমে চাষিরা লোন নিলে সেখানে অনেক কম সুদে লোন পাওয়া যাবে।
স্থানীয় চাষিরা জানান, ড্রোনের মাধ্যমে জমিতে স্প্রে করলে তা অল্প সময়ের মধ্যে কয়েক বিঘা জমিতে স্প্রে করা যাবে, এর ফলে খরচ যেমন কম হবে তেমনি কিষেন বা শ্রমিকের খরচ ও কমবে। তবে চাইলেই যেন পাওয়া যায় এমন ব্যবস্থাও করতে হবে। ধানের থোর আসা বা ফলানোর আগে কীটনাশক দিলে ভালো হয়। তারপর দিলে হাওয়ার বেগে ধান ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যেভাবে স্প্রে করা হচ্ছে তাতে গাছ সোজা থাকলে তা ধানের গোড়া পর্যন্ত পৌঁছে যাবে ফলে সুবিধা হবে চাষির।
পান্ডুয়া কৃষি বিপ্লব এগ্রিকালচার দপ্তরের ডাইরেক্টর আব্দুল নাসিম মন্ডল বলেন, পান্ডুয়া ব্লকের একটি ফার্মার প্রডিউসার অর্গানাইজেশন বা FPO পান্ডুয়া কৃষি বিপ্লব এগ্রি প্রডিউসার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড পক্ষ থেকে কৃষকদের ড্রোনের সাহায্যে কিভাবে জমিতে কীটনাশক স্প্রে করা হয় তার প্রদর্শন দেখান হয়। ড্রোনের মাধ্যমে স্প্রে করা হলে অনেক দ্রুত কয়েক বিঘা জমি কীটনাশক ছড়ানো যায়। চাষের খরচও যেমন কম লাগে তেমন ওষুধ কম লাগে। অনেক সময় ধান গাছ বড় হয়ে গেলে বা জমিতে কাদা থাকলে পরে অনেক কৃষক নামতে চান না তার উপরে জমিতে আল কেউটে, চন্দ্রবোড়া,গোখরো সাপের মতো বিষধর সাপের উপদ্রব বারে। বহুবার সাপের ছোবলে বহু কৃষক মারাও গেছে। ড্রোনের মাধ্যমে চাষ করলে বিপদ থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যাবে। ১৫ লিটার ট্যাংকে যেখানে ৫ কাঠা জমি স্প্রে করা যায়, সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে মাত্র ৫ লিটার জলে সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে এক বিঘা জমি স্প্রে করা যাবে।
হুগলি জেলা কৃষি উপ-অধিকর্তা প্রিয়লাল মৃধা বলেন, এ বছর কৃষকদের সুবিধার জন্য ড্রোনে ভর্তুকি দেবে সরকার। আমরাও চাই কৃষকরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করুক। এতে সব রকম সুবিধা হবে।।

