Paresh Adhikari On ED Raid: বাড়িতে ইডি! মুড়ি খাওয়াতে না পেরে ‘আক্ষেপ’ পরেশের

"বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, বাড়িতে থাকলে না হয় মুড়ি খাওয়াতাম"

| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2022 | 6:30 PM

কলকাতা: একুশের মঞ্চ থেকে সুর চড়িয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তোপ দেগেছিলেন কেন্দ্রীয় সংস্থার বিরুদ্ধে। লাখ লাখ তৃণমূল সমর্থকদের সামনে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ঘোষণা, ‘ইডি, সিবিআইকে ভয় পাই না, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝুঁকি না’। সময় তখন ঘড়িতে দুপুর প্রায় দুটো। তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঁশিয়ারির প্রায় ১৬ ঘণ্টার মধ্যেই শিরোনামে ইডি অভিযান। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় আজ সকাল থেকেই অভিযান চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। ভোর ছ’টা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের জেরা করতে ঠিক তাঁদের বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির ইডি। প্রায় ১৩টি দলে ভাগ হয়ে অভিযান চালালেন ইডির আধিকারিকরা। প্রত্যেকেরই আর্থিক লেনদেনের সঠিক তথ্য জানতেই অভিযুক্তদের বাড়িতে তদন্তকারী অফিসাররা। একটি দল সাতসকালে হাজির হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি। এর আগে তিনদিন ইডি অফিসে জেরা করা হয় এসএসসি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে তাঁকে নিজাম প্যালেসে হাজিরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আর্থিক লেনদেন বিষয়টিতে। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে কোথা থেকে টাকা এল, কেন এল সেই টাকা, কী কাজেই বা ব্যবহার করা হয়েছিল সেই টাকা- সেই সব তথ্য যাচাই করে দেখতেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ইডি।

ভোর ভোর মেখলিগঞ্জে ইডি-র হানা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বাড়িতেও। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী গতকাল একুশের সভায় উপস্থিত থাকার কারণে এখন কলকাতায়। তাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা তাকে পাননি। তিনি TV9 বাংলাকে জানিয়েছেন -” বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না, বাড়িতে থাকলে নাহয় মুড়ি খাওয়াতাম”। তবে শুধু পার্থ বা পরেশই একা নন, শিক্ষা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের বাড়িতেও ইডির তল্লাশি। তল্লাশি চলে প্রাক্তন উপদেষ্টা কমিটির চেয়্যারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতেও।

বাগদায় চন্দন মল্লিকের বাড়িতেও পৌঁছে গেছে ইডি। প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস তাঁর নাম নেবার পর থেকে যতবার তাঁর বাড়ি যাওয়া হয়েছে, তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, তিনি মামলাকারীদের থেকে টাকা নিতেন এবং শিক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত কাউকে টাকার বিনিময়ে চাকরি করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করিয়ে দিতেন। কেউ চাকরি পেয়েছেন আবার কেউ পাননি, এই দুই বিষয়েই অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কীভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল এসএসসিতে, তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্যও মেলে আর কে বাগের কমিটি রিপোর্টে। সেই রিপোর্টের নিরিখে যাচাই করে দেখা হচ্ছে এসএসসি চাকরিপ্রাপ্ত প্রত্যেকের সইও। আর কে বাগের রিপোর্ট অনুযায়ী, শিক্ষাক্ষেত্রে এই দুর্নীতির পরিমাণ কয়েকশো কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

Follow Us: