Loksabha Election 2024: ‘ধর্ম নেই, জাত নেই, যে সরকার আসবে সেটাই আমাদের সরকার’, কৃষ্ণনগরের গোরভাঙায় বইছে মানবিকতার হাওয়া
ভোটপুজো শুরু হতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। শাসক-বিরোধীপক্ষ জোর কদমে শুরু করে দিয়েছে তাঁদের প্রচার। ভোটের হাওয়া বইছে বঙ্গ রাজনীতিতেও। বিভিন্ন জেলার মতো নদিয়ার পালেও লেগেছে সেই ভোটের হাওয়া। মাটির পুতুলের শহর কৃষ্ণনগরে রাজনৈতিক তরজা উঠেছে কার্যত তুঙ্গে।
ভোটপুজো শুরু হতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। শাসক-বিরোধীপক্ষ জোর কদমে শুরু করে দিয়েছে তাঁদের প্রচার। ভোটের হাওয়া বইছে বঙ্গ রাজনীতিতেও। বিভিন্ন জেলার মতো নদিয়ার পালেও লেগেছে সেই ভোটের হাওয়া। মাটির পুতুলের শহর কৃষ্ণনগরে রাজনৈতিক তরজা উঠেছে কার্যত তুঙ্গে। কৃষ্ণনগরের রাজনীতি সরগরম সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে নিয়েও। সংসদকাণ্ডে পর বিশেষত। চমক দিয়েছে বিজেপিও। তৃণমূল প্রার্থী মহুয়াকে জোর টক্কর দিতে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে কৃষ্ণনগরের ‘রানিমা’ অমৃতা রায়কে। পদ্মশিবিরের ধারণা, সাধারণের মধ্যে রানিমার জনপ্রিয়তা হেসে খেলে টেক্কা দিয়ে যাবে মহুয়াকে। কিন্তু এ তো গেল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। কী ভাবছে নদিয়ার জনসাধারণ? ভোটের আগে তাঁদের চাহিদাই বা কী? সে সব জানতেই এলাকায় একটু ঘুরে আসা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বেশ কিছু বছর ধরে এই এলাকায় বইছে গেরুয়া হাওয়া। মানুষের পছন্দের নিরিখে পাল্লা ভারী বিজেপির দিকেই। বর্তমান শাসকদলের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ এলাকাবাসীর গলায়। নির্বাচনের আগে ছাড়া শাসকদলের নেতাদের নাকি সেভাবে আর চোখেই পড়ে না। যেটুকু নেতাদের দেখা মেলে তাও ভোটের প্রচারের সময়ই। সেই সময় প্রত্যেকের মুখেই ঝুরি ঝুরি প্রত্যাশা পূরণের গল্প। তারপর সময় গড়ায়, সময়মতো শেষ হয় নির্বাচনও। এলাকায় নেতাদের আনাগোনা হালকা হয়। আর মানুষের প্রত্যাশা… প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ণ হয় সামান্যই। এবারে তাই ভোটের আগে কৃষ্ণনগরবাসীর দাবি, এবার যেন কৃষ্ণনগর স্টেশনের কাছে ওভারব্রিজটা হয়ে যায়। ট্রেন যাওয়ার সময় রেলগেট পড়লে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা। গুরুত্বপূর্ণ কাজে যেতে মানুষের দেরি তো হয়ই। অ্যাম্বুলেন্স আটকে থাকায়, মৃত্য়ু হয়েছে অনেক রোগীরও।
TV9 বাংলা ঘুরে এল গোরভাঙা গ্রামেও। রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডা থেকে লক্ষ-যোজন দূরে থাকে কৃষ্ণনগর থেকে অনতি দূরের এই গ্রাম,গোরভাঙা। বাউল-ফকিরদের গ্রাম। ভোটের হাওয়া এই গ্রামে বইলেও মানবিক হাওয়ার কাছে সেই হাওয়া অনেকটাই ম্লান। এখানে মনুষ্যত্বই শেষ কথা। এলাকাবাসী মনে-প্রাণে বিশ্বাস করে ‘সবার উপর মানুষ শ্রেষ্ঠ’ কথাটি। তাই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বিলকুল নাপসন্দ এখানকার মানুষের। আসন্ন লোকসভা ভোটের আগে গ্রামবাসীর একটাই চাওয়া, ভোট হোক ভোটের মতো, সমস্ত অপ্রাপ্তিই পূর্ণতা পাক। ভোট হোক শান্তির, ভোট হোক শৃঙ্খলাবদ্ধ।