Indian Navy On China: চিন এবার শক্তি বাড়াচ্ছে জলপথে, ভারতের ব্লুপ্রিন্ট কী?
চিনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা এবার জলপথে। চিনা সৈন্যকে শায়েস্তা করতে বড় স্ট্র্যাটেজি ভারতীয় নৌবাহিনীর। কলকাতায় এসে নৌবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা জানালেন সেই কথা।
চিন যেভাবে মাঝেমধ্যেই নিজেদের সাবমেরিন হোক বা অন্যান্য যুদ্ধজাহাজকে ভারত মহাসাগর সংলগ্ন অংশে এনে দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করছে, তা যে মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তা আগেভাগেই নিজেদের হবেভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিল। আর সেই কারণেই বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধীনে থাকা দেশের জল সীমান্তগুলিতে বাড়তি নজরদারি করতে যুদ্ধ জাহাজ মোতায়ন করেছে নৌবাহিনী।
বাংলাদেশ এবং ভারত সীমান্তের মধ্যে এমন কিছু অংশ রয়েছে যেগুলি বিএসএফ এবং ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী মূলত নজরদারি করে থাকে। তাই পাচার রোখা এবং পাচারকারীদের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দেওয়া যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে করে থাকে দেশের এই দুই বাহিনী।
শুধু দক্ষিণ চিন সাগর নয়, মাঝেমধ্যে ভারত মহাসাগরে যুদ্ধজাজ এবং সাবমেরিন পাঠিয়ে উপমহাদেশের সামরিক সমীকরণ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে চিন । কারণ, ভারত মহাসাগরকে পাখির চোখ করেছে জিনপিং সরকার। মহাসাগর গুলিতে চিনের দাদাগিরিতে কিছুটা হলেও শঙ্কিত ছোট ছোট দেশগুলি। যেকারণে দেশের জল সীমান্তগুলিতে নৌবাহিনী যুদ্ধজাহাজের মোতায়েনের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে বলে নৌবাহিনী সূত্রে খবর। কারণ, ভারতের জল সীমান্তের মধ্যে ঢুকে গিয়ে গুপ্তচর বৃত্তির চেষ্টা চালায় জিনপিং সরকারের পিপলস লিবারেশন নৌবাহিনীর আধিকারিকরা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এদিন নেভাল অফিসার ইন কমান্ডের বক্তব্য যথেষ্টই ইঙ্গিত পূর্ণ।
এদিকে কলকাতার খিদিরপুর ডকে এসে নোঙর করেছে দেশের নৌবাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী পেট্রোল ভেসেল আইএনএস সুমিত্রা। শক্তিশালী সুপার রেপিড গান মাউন্ট থাকা এই যুদ্ধ জাহাজটি ‘রাষ্ট্রপতির ইওট ‘ হিসেবেও খ্যাত। এছাড়াও অন্যান্য শক্তিশালী মেশিনগান এবং অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মূলত পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অন্তর্গত জল সীমান্তে নজরদারির কাজ চালায় এই যুদ্ধ জাহাজটি। ২০১৫ সালে “অপারেশন রাহাত” এ গিয়ে ইয়েমেন থেকে ৩৫০ জন আটকে পড়া ভারতীয় বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছিল এই যুদ্ধ জাহাজটি।
চেন্নাই বন্দরে মূলত থাকে এই যুদ্ধ জাহাজটি। সেখান থেকেই ভারত মহাসাগর এবং বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন অপারেশনাল কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।