Hindus In Pakistan: পাকিস্তানের এই হিন্দুদের সম্পত্তি আকাশছোঁয়া

Hindus In Pakistan: পাকিস্তানের এই হিন্দুদের সম্পত্তি আকাশছোঁয়া

rahul Sadhukhan

|

Updated on: Dec 27, 2023 | 4:17 PM

কেউ স্নুকার খেলোয়াড়, কেউ ফ্যাশন ডিজাইনার, আবার কেউ রাজনীতিবিদ। এরা পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দু। যাঁদের সম্পত্তির হিসেব দেখলে চোখ কপালে উঠে যায়। তাঁরা কারা?

সামনেই পাকিস্তানের নির্বাচন। তবে, কোনও দলের প্রতিই আর আস্থা অটুট নেই আম পাকিস্তানিদের। ২০২২-এর পর ২০২৩ সালটাও পাকিস্তানের কেটেছে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে। আটা, চাল, ডিম ইত্যাদির নিত্য প্রয়োজনীয় মতো খাদ্য সামগ্রীর ঘাটতি এতটাই বেশি যে, মানুষ এই খাবারের জন্য নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে। এর মধ্যে আরও খারাপ অবস্থা সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে হিন্দু পরিবারগুলির। তবে এত সব অসুবিধার মধ্যেও, পাকিস্তানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছেন, যাঁদের পাকিস্তানের ধনীতম ব্যক্তিদের মধ্যে গণ্য হয়। এই প্রভাবশালী ধনী পাকিস্তানি হিন্দুরা, নিজেদের জোরে এই জায়গা পৌঁছেছেন। এই রকম কয়েকজন পাকিস্তানি হিন্দুদের সম্পর্কে জেনে নেব –

১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের মিরপুর খাসে জন্মেছিলেন দীপক পারওয়ানি। দীপক একজন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার এবং অভিনেতা। তিনি পাকিস্তানের হিন্দু সিন্ধি সম্প্রদায়ের মানুষ। ফ্যাশন শিল্পে বহু পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন তিনি।

দীপক পারওয়ানির খুড়তুতো ভাই হলেন নবীন পারওয়ানি। ১৯৭১-এ জন্মেছিলেন নবীন। তিনি পাকিস্তানের একজন বিখ্যাত স্নুকার খেলোয়াড়। ২০০৬ সালে দোহা এশিয়ান গেমসে নবীন পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

সঙ্গীতার জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে। তিনি পাকিস্তানি চলচ্চিত্র শিল্পের একজন বিখ্যাত অভিনেত্রী এবং পরিচালক। ১৯৬৯ সাল থেকেই তিনি পাক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন। সঙ্গীতা অবশ্য পাকিস্তানে পারভীন রিজভী নামেই বেশি পরিচিত। পারভীন বা সঙ্গীতা, ‘নিকাহ’, ‘মুট্ঠি ভর চাওয়াল’, ‘ইয়ে আমন’, ‘নাম মেরা বদনাম’-এর মতো অনেক বড় বড় চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।

রীতা ঈশ্বর পাকিস্তানের করাচির বাসিন্দা। ১৯৮১ সালে জন্মেছিলেন তিনি। রিতা একজন রাজনীতিবিদ। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাঁকে পাকিস্তানের অন্যতম ধনী মহিলা রাজনীতিবিদ হিসেবে গণ্য করা হয়।

পাকিস্তানি পিপলস পার্টি বা পিপিপি-র সদস্য খাতুমল জীবন। ১৯৫৬ সালে সিন্ধ প্রদেশের উমেরকোটে জন্মেছিলেন খাতুমল। তিনি পাক জাতীয় সংসদ এবং সেনেট – দুই কক্ষেরই সদস্য ছিলেন। ১৯৮৮ সালে খাতুমাল পিপিপির টিকিটে সিন্ধ বিধানসভা নির্বাচনেও জিতেছিলেন।