বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে উড়ে এসেছিল মিসাইল। আর একটু হলেই ইরানের মিসাইল আছড়ে পড়ত ইজরায়েলের ঘাঁটিতে। ঠিক সময়ে শক্রর মিসাইলকে ইন্টারসেপ্ট করে ধ্বংস করে দেয় ইজরায়েলি মিসাইল ডিফেন্স। টুকরো টুকরো বিভিন্ন অংশ গিয়ে পড়ে বায়ুসেনা ঘাঁটির ছাদে। বড় গর্ত হয়ে যায়। স্যাটেলাইট থেকে তোলা সেই ছবি, প্রকাশ করেছিল ইজরায়েলের মিডিয়া এজেন্সি। তারপর থেকেই নেভাটিম এয়ার বেসের বড় বড় গর্ত নিয়ে দিনভর জল্পনা। কীভাবে গর্ত হল? তা হলে কী মঙ্গলবার রাতে নেভাটিমে আছড়ে পড়েছিল ইরানের মিসাইল? এমনই সব প্রশ্ন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে রহস্যের সমাধান হয়েছে। না, বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মিসাইল আছড়ে পড়েনি। মিসাইল ধ্বংসের পর তা টুকরো হয়ে আগুনের গোলার মতো ছড়িয়ে পড়ে। সেই কারণেই ছাদে গর্ত। দেখুন নেভাটিম এয়ারবেস ইজরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বায়ুসেনা ঘাঁটি। এখানে আছে আইডিএফের সেরা অস্ত্র, আমেরিকার এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান। নেভাটিমে বায়ুসেনা ঘাঁটির ছাদে কী ভাবে গর্ত হল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মাত্র ১২ ঘণ্টায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়নি। মিসাইলের টুকরো ছড়িয়ে পড়াতেই গর্ত তৈরি হয়েছে। ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দফতর লক্ষ্য করেও মিসাইল হামলা হয়েছিল। সেটাও ধ্বংস করে দেয় তাদের মিসাইল ডিফেন্স। সেই ঘটনার অভিঘাতে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, সোশ্যাল মিডিয়ায় মোসাদের হেড অফিস বলে যে বিল্ডিংয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা মোসাদের হেড অফিস নয়। মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে মূলত ৫টা টার্গেটে হামলার ছক কষেছিল ইরান। বায়ুসেনা ঘাঁটি, অয়েল রিফাইনারি, টিভি স্টেশন, কমিউনিকেশন সেন্টার ও গোয়েন্দা সংস্থার হেড অফিস।
এবার দিনের সবচেয়ে বড় খবর! ইরানের ২টি পরমাণু কেন্দ্রে মিসাইল হামলার ছক চূড়ান্ত করে ফেলেছে আইডিএফ ও সেদেশের অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্বে শিন বেট এবং ইউনিট এইট টু জিরো জিরো। ইজরায়েলের দুটো হাইলি ট্রেনড টেকনিক্যাল সাপোর্ট গ্রুপ। ইজরায়েলি মিডিয়ার দাবি, ইরানের ২ পরমাণু কেন্দ্রের রিঅ্যাক্টর লক্ষ্য করে হামলা চালাতে চায় আইডিএফ। সেজন্য বিশেষ ধরণের প্রোটেকশন লেয়ার তাদের হাতে রয়েছে। সামরিক কারণে পরমাণু চুল্লিতে হামলার লক্ষ্যই হল, চুল্লিতে আঘাত করে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ কয়েক হাজার গুণ বাড়িয়ে দেওয়া। সেটা করতে পারলেই বড়সড় বিপর্যয়। সঙ্গে বহু, বহু মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা। আমেরিকা কি ইজরায়েলকে সেই ছাড় দেবে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, আমরা প্রতি মুহূর্তে ইজরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিণতি ভয়ঙ্কর। ইজরায়েল মিসাইল হামলার জবাব দিক। কিন্তু সেটা যেন হাতের বাইরে না যায়। ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাফাতালি বেনেট সংবাদসংস্থা এপি-কে বলেছেন, ইরানকে এমন শিক্ষা দিতে হবে, যাতে আর কেউ আমাদের দিকে চোখ তোলার সাহস না পায়। বেনেটের বক্তব্য, পশ্চিয় এশিয়ার পরিস্থিতি ইজরায়েলের সামনে বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন আগ্রেসিভ হলে আমরা বহু বছরের জন্য ইজরায়েলবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। নাফাতালি বোঝাতে চেয়েছেন, চার ঘোষিত শক্রকে কোণঠাসা করতে চারটি ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হবে আইডিএফকে। ইজরায়েল কি সেই পথেই হাঁটবে? সেটা স্পষ্ট না হলেও গাজা, লেবাননের পর গতকাল রাত থেকে সিরিয়ায় বিমানহানা শুরু করেছে আইডিএফ। তবে শুরুতেই বিপত্তি। ইজরায়েলি বিমান থেকে ফেলা বোমা গিয়ে পড়ে সিরিয়ায় রুশ সেনা ঘাঁটিতে। সম্ভবত টার্গেট মিস করাতেই এই ঘটনা। ওই সেনাঘাঁটি বহুদিন ধরে পরিত্যক্ত। যদিও ঘটনাটা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন কীভাবে নেবেন, কে জানে? এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ আইডিএফ সদস্য। আপনাদের কাছে যখন এই খবর দিচ্ছি, তার ঠিক আগেও বেইরুটে বিমান আক্রমণ চালায় আইডিএফ। গত ২৪ ঘণ্টায় এনিয়ে ৪ বার। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি কতটা খারাপ, সামনে কতটা অনিশ্চয়তা, আপনারা বুঝতেই পারছেন।
বায়ুসেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে উড়ে এসেছিল মিসাইল। আর একটু হলেই ইরানের মিসাইল আছড়ে পড়ত ইজরায়েলের ঘাঁটিতে। ঠিক সময়ে শক্রর মিসাইলকে ইন্টারসেপ্ট করে ধ্বংস করে দেয় ইজরায়েলি মিসাইল ডিফেন্স। টুকরো টুকরো বিভিন্ন অংশ গিয়ে পড়ে বায়ুসেনা ঘাঁটির ছাদে। বড় গর্ত হয়ে যায়। স্যাটেলাইট থেকে তোলা সেই ছবি, প্রকাশ করেছিল ইজরায়েলের মিডিয়া এজেন্সি। তারপর থেকেই নেভাটিম এয়ার বেসের বড় বড় গর্ত নিয়ে দিনভর জল্পনা। কীভাবে গর্ত হল? তা হলে কী মঙ্গলবার রাতে নেভাটিমে আছড়ে পড়েছিল ইরানের মিসাইল? এমনই সব প্রশ্ন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে রহস্যের সমাধান হয়েছে। না, বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মিসাইল আছড়ে পড়েনি। মিসাইল ধ্বংসের পর তা টুকরো হয়ে আগুনের গোলার মতো ছড়িয়ে পড়ে। সেই কারণেই ছাদে গর্ত। দেখুন নেভাটিম এয়ারবেস ইজরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বায়ুসেনা ঘাঁটি। এখানে আছে আইডিএফের সেরা অস্ত্র, আমেরিকার এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান। নেভাটিমে বায়ুসেনা ঘাঁটির ছাদে কী ভাবে গর্ত হল, তা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। মাত্র ১২ ঘণ্টায় প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়ে। সেই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, বায়ুসেনা ঘাঁটিতে মিসাইল হামলা হয়নি। মিসাইলের টুকরো ছড়িয়ে পড়াতেই গর্ত তৈরি হয়েছে। ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দফতর লক্ষ্য করেও মিসাইল হামলা হয়েছিল। সেটাও ধ্বংস করে দেয় তাদের মিসাইল ডিফেন্স। সেই ঘটনার অভিঘাতে রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, সোশ্যাল মিডিয়ায় মোসাদের হেড অফিস বলে যে বিল্ডিংয়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে, সেটা মোসাদের হেড অফিস নয়। মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলে মূলত ৫টা টার্গেটে হামলার ছক কষেছিল ইরান। বায়ুসেনা ঘাঁটি, অয়েল রিফাইনারি, টিভি স্টেশন, কমিউনিকেশন সেন্টার ও গোয়েন্দা সংস্থার হেড অফিস।
এবার দিনের সবচেয়ে বড় খবর! ইরানের ২টি পরমাণু কেন্দ্রে মিসাইল হামলার ছক চূড়ান্ত করে ফেলেছে আইডিএফ ও সেদেশের অন্য নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্বে শিন বেট এবং ইউনিট এইট টু জিরো জিরো। ইজরায়েলের দুটো হাইলি ট্রেনড টেকনিক্যাল সাপোর্ট গ্রুপ। ইজরায়েলি মিডিয়ার দাবি, ইরানের ২ পরমাণু কেন্দ্রের রিঅ্যাক্টর লক্ষ্য করে হামলা চালাতে চায় আইডিএফ। সেজন্য বিশেষ ধরণের প্রোটেকশন লেয়ার তাদের হাতে রয়েছে। সামরিক কারণে পরমাণু চুল্লিতে হামলার লক্ষ্যই হল, চুল্লিতে আঘাত করে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ কয়েক হাজার গুণ বাড়িয়ে দেওয়া। সেটা করতে পারলেই বড়সড় বিপর্যয়। সঙ্গে বহু, বহু মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনা। আমেরিকা কি ইজরায়েলকে সেই ছাড় দেবে? মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, আমরা প্রতি মুহূর্তে ইজরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। পরমাণু কেন্দ্রে হামলার পরিণতি ভয়ঙ্কর। ইজরায়েল মিসাইল হামলার জবাব দিক। কিন্তু সেটা যেন হাতের বাইরে না যায়। ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নাফাতালি বেনেট সংবাদসংস্থা এপি-কে বলেছেন, ইরানকে এমন শিক্ষা দিতে হবে, যাতে আর কেউ আমাদের দিকে চোখ তোলার সাহস না পায়। বেনেটের বক্তব্য, পশ্চিয় এশিয়ার পরিস্থিতি ইজরায়েলের সামনে বড় সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন আগ্রেসিভ হলে আমরা বহু বছরের জন্য ইজরায়েলবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারব। নাফাতালি বোঝাতে চেয়েছেন, চার ঘোষিত শক্রকে কোণঠাসা করতে চারটি ফ্রন্টে যুদ্ধ করতে হবে আইডিএফকে। ইজরায়েল কি সেই পথেই হাঁটবে? সেটা স্পষ্ট না হলেও গাজা, লেবাননের পর গতকাল রাত থেকে সিরিয়ায় বিমানহানা শুরু করেছে আইডিএফ। তবে শুরুতেই বিপত্তি। ইজরায়েলি বিমান থেকে ফেলা বোমা গিয়ে পড়ে সিরিয়ায় রুশ সেনা ঘাঁটিতে। সম্ভবত টার্গেট মিস করাতেই এই ঘটনা। ওই সেনাঘাঁটি বহুদিন ধরে পরিত্যক্ত। যদিও ঘটনাটা রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন কীভাবে নেবেন, কে জানে? এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননে অভিযান চালাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন অন্তত ৮ আইডিএফ সদস্য। আপনাদের কাছে যখন এই খবর দিচ্ছি, তার ঠিক আগেও বেইরুটে বিমান আক্রমণ চালায় আইডিএফ। গত ২৪ ঘণ্টায় এনিয়ে ৪ বার। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি কতটা খারাপ, সামনে কতটা অনিশ্চয়তা, আপনারা বুঝতেই পারছেন।