AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আরও বড় আন্দোলনের মুখ দেখবে বাংলাদেশ?

আরও বড় আন্দোলনের মুখ দেখবে বাংলাদেশ?

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Jul 29, 2024 | 12:20 AM

Share

ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলি। ১০ দিন ২০০-র বেশি মৃত বাংলাদেশে। হাসিনা সরকারের হাতে রক্তের দাগ! ছাত্র আন্দোলনে সত্যিই রয়েছে জঙ্গি যোগ? দেখুন TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ ‘বাংলাদেশ: বুলেট বনাম স্লোগান’

যে ছবির সাক্ষী আমরা শেষ দু সপ্তাহ ধরে। বাংলাদেশ জুড়ে বন্ধ ইন্টারনেট। বন্ধ জনজীবন। কার্ফিউ। কী হচ্ছে বার্ব ওয়্যারের ওপারে? কেন এত রক্ত, কেন এত মৃত্যু? কেন এই কোটা আন্দোলন? কেন এই আন্দোলন উস্কে দিল রাজাকার স্মৃতি? ২৩ তারিখ সেই আগুনে খানিকটা হলেও জল পড়েছে। কিন্তু আগুন কী নিভেছে? ছাইচাপা পড়ে নিভে গেল হাজারো ফুলকি? নাকি বুকে দাবানল নিয়ে আরও বড় আন্দোলনের মুখ দেখবে বাংলাদেশ? দেখাব আজকের নিউজ সিরিজে। আজকের নিউজ সিরিজ, বাংলাদেশ: বুলেট বনাম স্লোগান।

আজকের নিউজ সিরিজে চারটি সেগমেন্ট রয়েছে। কোটার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, আতঙ্কের দিনরাত্রি, পথ দেখায় ছাত্রসমাজ, আলোড়ন সীমান্তপারের।

কোটার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ

দুহাত বাড়িয়ে তরুণ ছাত্রনেতা বললেন, ‘আমাকে গুলি করুন’। গুলি চলল, ছাত্রনেতা লুটিয়ে পড়লেন। হাসপাতালের বেডে মৃত সন্তান কে আঁকড়ে আর্তনাদ মায়ের। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিঁড়িতে পড়ে রয়েছে নিথর দেহ। কলেজ ইউনিফর্মে চাপ চাপ রক্তের ছোপ। আই কার্ডেও রক্তের ছিটে। সংক্ষেপে এটাই বাংলাদেশ। বাংলাদেশের চোষট্টিটি জেলার অন্তত তিরিশটিতে ছাত্র রাষ্ট্র অসম লড়াই চলছিল। বুলেটের বিরুদ্ধে স্লোগানের অসম সংঘাত। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পর আরও একবার সমাজ বদলে দেওয়ার নেশায় রাস্তায় নেমেছিল বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। এবার মুক্তি যুদ্ধের হ্যাংওভার থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন ছাত্ররা। দাবি, সংরক্ষণমুক্ত বাংলাদেশের।

আতঙ্কের দিনরাত্রি

একটা ছেলে, সে পড়তে চেয়েছিল। সে চেয়েছিল তার মতো আরও অনেক কুঁড়ি ফুটুক দেশ জুড়ে। নিজের মেধায় মাথা তুলে বাঁচুক তাঁরা। কিন্তু সরকার? সরকার ছাত্রদেরকে সন্ত্রাসবাদী প্রমান করতে উঠে পড়ে লাগলো? সন্ত্রাসবাদী তকমা দিলেই কি মুছে ফেলা যাবে এত রক্তের দাগ? মুছে ফেলা যাবে রাষ্ট্রের হিংসা! মুছে ফেলা যাবে সন্তান হারানো মায়ের চোখের জল? জনবিচ্ছিন্ন বাংলাদেশে কীভাবে চলেছে অত্যাচার? কীভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে বলি হয়েছেন শয়ে শয়ে ছাত্র? দেখাব সেই ছবিই আজকের দ্বিতীয় পর্বে।

পথ দেখায় ছাত্রসমাজ

বাংলা। আমাদের মাতৃভাষার সাথে জড়িয়ে আছে রক্তাক্ত ইতিহাস। সেদিনও ভাষার দাবীতে জান কবুল করেছিল ছাত্ররা। প্রাণ হরিয়েছিলেন বরকত – রফিকউদ্দিনরা। সেই ছাত্র আগুনই ৭১ এ গলিয়ে দিল পরাধীনতার শেকল। পাকিস্তানের খাঁচা ভেঙে তারা উড়িয়ে দিয়েছিলো বাংলাদেশের আগুনপাখি। তারপর শাহবাগ থেকে রাজশাহী, ঢাকা থেকে খুলনা। ছাত্ররাই দখল নিয়েছিল বাংলাদেশের পথ ঘাট মাঠ। কলেজে , বিশ্ববিদ্যালয়ে , শাহবাগ থেকে ঢাকার রাজপথে বারবার গর্জে ওঠে হাজার হাজার বরকত – রফিকউদ্দিন । কালের নিয়মে নাম পাল্টায় । পাল্টে যায় প্রতিরোধের চেহারা। বরকতের নাম হয় শামসুজ্জোহা, আর রফিকউদ্দিন হয়ে যায় আবু সাঈদ। মাতৃভাষার লড়াই থেকে কোটার বিরুদ্ধে লড়াই । পাকিস্তানের স্বৈরাচার থেকে স্বাধীন রাষ্ট্রের দমননীতি। কতটা মিল ? দেখবো আজকের তৃতীয় পর্বে।

আলোড়ন সীমান্তপারের

১৯৭১ এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল যশোর রোডের। রাজাকার এবং পশ্চিমী পাকিস্তানী সেনাদের হাত থেকে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে এই রাস্তা দিয়েই অজানা শহর কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিলেন পূর্ব পাকিস্তানের লক্ষ্য লক্ষ্য নাগরিক। ছিন্নমূল। শিকড় সমেত উপড়ে গেলেন কোটি কোটি বাঙালি। কাঁটাতার পেরিয়ে নতুন করে খুঁজতে হয়েছিল মাটি, হাওয়া, রোদ। সাক্ষী ছিল কলকাতা, আসাম, ত্রিপুরা। আজও দেশের নানা কলোনি ও রিফিউজি ক্যাম্পে রয়েছে সেই সব হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোর কাদাপায়ের ছাপ। আবারও সেই রিফিউজি স্মৃতি উস্কে উঠলো এপার বাংলায়। বিগত কয়েকবছর ধরেই সিএএ- এনআরসি-রোহিঙ্গ্যা ইস্যুতে বারবার তোলপাড় হয়েছে দেশের রাজনীতি। উঠে এসেছে অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ, নাগরিকত্বের মতো শব্দগুলো। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখে আবার কি রিফিউজি স্রোত ভেসে আসবে কাঁটাতার পেরিয়ে? ঠিক কি পরিস্থিতি দেখবে ভাবছে এদেশ ও রাজ্য? পদ্মাপাড়ের আন্দোলনের আঁচ কি প্রভাব ফেললো গঙ্গা অববাহিকায়?

Published on: Jul 29, 2024 12:19 AM