Bhawanipore Double Murder: গুজরাটি দম্পতি খুন, ভয়ে সিঁটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়া
পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়ির আলমারি খোলা ও লণ্ডভণ্ড অবস্থায় ছিল। শাহ দম্পতির মেয়ের দাবি, চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যেই খু্ন করা হয়েছে তার মা-বাবাকে।
কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় গুজরাটি দম্পতির রহস্য মৃত্যু। খাস কলকাতায় দম্পতি খুনে চাঞ্চল্য। সোমবার সন্ধ্যেবেলায় ভবানীপুরের হরিশ মুখার্জি লেন থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার করেছে কলকাতা পুলিশ। ঘরের দু’প্রান্তে পড়েছিল দুটি দেহ। সোমবার ভর সন্ধ্যেবেলায় হরিশ মুখার্জি লেনে ঘটে যাওয়া ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কলকাতা হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, নিহতদের নাম অশোক শাহ ও রেশমি শাহ। তাঁরা শেয়ার মার্কেটের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর দেহে রয়েছে গুলির আঘাত এবং স্ত্রীর দেহে রয়েছে ধারালো অস্ত্রের কোপ। ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ আনা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, গুজরাটি এই দম্পতি দীর্ঘ দিন ধরে এই এলাকায় রয়েছেন। তাঁদের তিন মেয়ে। দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট মেয়ে ওই দম্পতির সাথেই থাকত। সোমবার তাঁদের ছোট মেয়ে বাইরে থেকে ফিরে এসে তার মা-বাবার দেহ পড়ে থাকতে দেখে।
ভবানীপুর কলকাতার ‘হাইপ্রোফাইল জো়ন’। যেখানে দম্পতি খুনে ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঢিল ছোঁড়া দূরত্বেই। ভর সন্ধ্যেবেলায় জোড়া খুনের এই ঘটনা স্বভাবতই হইচই ফেলে দিয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, “অপরাধী পালাতে পারবে না। কলকাতা পুলিশ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পরেই। ক্রাইম করে কেউ বাংলা থেকে পালিয়ে যেতে পারে না।”
পুলিশ শাহ পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেছে। স্নিফার ডগ দিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালায় কলকাতা হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছান নগরপাল বিনীত গোয়েলও। পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়ির আলমারি খোলা ও লণ্ডভণ্ড অবস্থায় ছিল। শাহ দম্পতির মেয়ের দাবি, চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যেই খু্ন করা হয়েছে তার মা-বাবাকে।
এলাকার সমস্ত ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশে। যে গলিতে এই বাড়িটি, সেই গলির মুখেও একটি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। পুলিশের কাছে এই ফুটেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।