Sundarban Child Education Center: ভবিষ্যতের রান্না হয় খোলা আকাশের তলায়
বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বরূপকাঠি আদিবাসী পাড়া। ২০০৭ সালে ঐ আদিবাসী পাড়ায় তৈরি হয় একটি আইসিডিএস সেন্টার। বর্তমানে সেখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শতাধিক। কিন্তু সেখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য খাবার রান্না করার কোন জায়গা নেই।
যুগের পর যুগ খোলা আকাশের নিচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে শিশুদের রান্না, স্থায়ী রানার ঘর চাইছেন সুন্দরবনের আদিবাসী পাড়ার মায়েরা। বসিরহাটের সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বরূপকাঠি আদিবাসী পাড়া। ২০০৭ সালে ঐ আদিবাসী পাড়ায় তৈরি হয় একটি আইসিডিএস সেন্টার। বর্তমানে সেখানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শতাধিক। কিন্তু সেখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য খাবার রান্না করার কোন জায়গা নেই। শীত-বর্ষা-গ্রীষ্ম বারো মাস খোলা আকাশের নিচে ছাত্রছাত্রীদের খাবার তৈরি করেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। ২২৪ নম্বর এই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের বেহাল অবস্থা। দীর্ঘদিন ধরে রান্নার জন্য নেই কোনো স্থায়ী জায়গা।
রান্না করার জায়গা না থাকার সুবাদে খোলা আকাশের নিচে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ চালাতে হয় আইসিডিএস সেন্টারের শিক্ষিকাদের। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী মানা রপ্তান রায় বাড়ি থেকে ত্রিপল, বাঁশ ও কাঠ এনে একটি অস্থায়ী ঘর তৈরি করেছেন। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি, রান্নার সময় খাবারে অনেক সময়ই কীট পতঙ্গ এসে পড়ে। এই বিষয়ে আইসিডিএস সেন্টারের কর্মী মানা রপ্তান রায় বলেন, “এই অবস্থার কথা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে আইসিডিএসের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু ভ্রুক্ষেপ নেই কারোর।
” হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ সুরজিৎ বর্মন বলেন, “দ্রুত এ বিষয়ে সমাধান হবে, শুধু সময়ের অপেক্ষা।” তবে দিনের পর দিন যেভাবে সুন্দরবনের এই পিছিয়ে পড়া এলাকায় খোলা আকাশের নীচে বাচ্চাদের বড় করে তোলা হচ্ছে তা মেনে নিতে পারছেন না গ্রামবাসী থেকে শুরু করে কচিকাঁচাদের অভিভাবকরাও।