RG Kar Doctor’s Murder Case: মেরুদণ্ড শক্ত করার লড়াইয়ে বাংলা, রাতদখল থেকে মিছিল―প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা

RG Kar Case: দিকে দিকে একটাই স্লোগান, WE WANT JUSTICE, আজ এক মাস পের হবে তিলোত্তমা হত্যার, এখনও বিচার তো দূর একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া কেউই ধরা পড়েনি। কবে মিলবে বিচার? আদৌ কি মিলবে বিচার? এই আরজি কর কাণ্ড পুলিশের ওপর ভরসা তুলে দিয়েছে সাধারণ মানুষের? প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকায় দাবি উঠেছিল সিবিআই তদন্তের। দাবি উঠেছিল বিচারবিভাগীয় তদন্তের। এই হারানো ভরসা কি ফেরানো সম্ভব? পুলিশের কি সম্ভব রাজনীতির নাগপাশ থেকে বেরিয়ে এসে মাথা উঞ্চ করে কাজ করা? দেখাব আজকের চতুর্থ অর্থাৎ শেষ পর্বে।

RG Kar Doctor's Murder Case: মেরুদণ্ড শক্ত করার লড়াইয়ে বাংলা, রাতদখল থেকে মিছিল―প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা
| Updated on: Sep 08, 2024 | 10:40 PM

পুলিশ! এই কথা বললে প্রথম কোন ছবিটা ভাসে আপনাদের মনে? বলিউডি আর টলিউডি ছবি মিশিয়ে যদি একটা চরিত্র আপনারা কল্পনা করেন তাহলে কোন নামটা সবার আগে মাথায় আসে সিংঘাম, দাবাং নাকি এই বাংলার শবর দাশগুপ্ত? যদিও আজকের দিনে এই প্রশ্নটার উত্তর কী হবে জানা নেই। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই পুলিশ নিয়ে নেগেটিভ কমেন্ট। পুলিশ নিয়ে মিম ছড়াবে নাই বা কেন বলুন তো? যদি এই শেষ একমাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর কথাই বলি! ১৪ অগাস্ট রাত। পুলিশের কাছে নাকি খবরই ছিল না! কাতারে কাতারে দুষ্কৃতী ট্রাকে করে এসে জড়ো হয়েছিল আরজি করে। সেদিন পুলিশই নাকি প্রটেকশন চাইতে গেছিল আরজি করের নার্সদের কাছে। একসময় যে পুলিশকে বলা হত পূর্বের স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, তার আজ এই অবস্থা! কোথাও আন্দোলনকারীরা মেরুদণ্ড উপহার দিলেন, কোথাও আবার একা অসহায় পুলিশকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে স্লোগান হজম করতে হল। শুধু কি লাঞ্ছনা? সাদা-খাঁকি উর্দিতে কি বেনিয়মের কালি লেগেছে? পুলিশের বিরুদ্ধে দলদাস হওয়ার অভিযোগ। ক্ষমতার হাতের পুতুল হওয়ার বদনাম। কিন্তু কেন দেখতে হচ্ছে এই দিন? কীভাবে গর্বের প্রতিষ্ঠান সম্মান হারিয়ে আজ ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে? আজ রাজ্যের যে কোন মিছিল বা জমায়েত পুলিশের কাছে প্রেস্টিজ ম্যাচ। কিন্তু এই পরিস্থিতির কারণ কী? কীভাবেই বা পাল্টাবে এই সিস্টেম? নাকি পুলিশ রাজনীতির কাছে বিকিয়ে দেবে মেরুদণ্ড? উত্তর খুঁজব আজকের নিউজ সিরিজে, আজকের TV9 বাংলা নিউজ সিরিজ, শিরদাঁড়ার সন্ধানে।

আজকের নিউজ সিরিজে চারটি পর্ব রয়েছে, আরজি করে গোড়ায় গলদ, অবক্ষয়ের ইতিকথা, পুলিশ তুমি যতই মারো!, কবে ফিরবে মেরুদণ্ড?

ইংরেজিতে বলে স্পাইন। বাংলায় শিরদাঁড়া বা মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ড আছে বলেই মানুষ মেরুদণ্ডী প্রাণী। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার অভিযানে প্রতীকী মেরুদণ্ড নিয়ে পুলিশকে শিরদাঁড়া বিহীন তকমা দিলেন? ২রা সেপ্টেম্বর। গত সোমবারই কলকাতার পুলিশ কমিশনারের হাতে শিরদাঁড়া তুলে দিতে চেয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে রাস্তা আটকে দেয়। তারপর রাতভর অবস্থান। শিরদাঁড়ার ঠাঁই হয় ব্যারিকেডে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সঙ্গে তুলনা করা হয়। অতীতে একাধিক হয় প্রোফাইল ঘটনা দক্ষতার সঙ্গে সামলেছেন। আরজি কর ঘটনার তদন্তে আমজনতার নানা প্রশ্নের মুখে সেই কলকাতা পুলিশ। ৯ অগাস্ট। ভোররাত। আরজি কর হাসপাতালে যে নারকীয় ঘটনা ঘটে গিয়েছিল তারপর। হ্যাঁ, তারপর কি করেছিল পুলিশ? হাসপাতাল বলল আত্মহত্যা? বাবা-মা কে তিন ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হল মেয়ের দেহ দেখানোর আগে। আর পুলিশ! তড়িঘড়ি দেহ সৎকার করল! কেন বলুন তো পুলিশ কি কাউকে আড়াল করছিল সেইদিন? পুলিশ কি সেদিন তদন্তকে থমকে দিতে চেয়েছিল?

অবক্ষয়ের ইতিকথা

নারদ কাণ্ডে এক ক্লিপিংয়ে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায় কীভাবে ঘুষের টাকা একজন আইপিএস অফিসার এস এম মির্জার হাতে তুলে দিতে বললেন! এই টেপের ফরেনসিক টেস্ট TV9 বাংলা করেনি, কিন্তু ছবিটা দেখে আজও ভয় করে। রাজনীতিক আর পুলিশের মাথার এক হয়ে ঘুষের টাকা লেনদেন চলছে! কী ভয়ঙ্কর ছবি! আট বছর পেরিয়েছে এই ঘটনার, গড়িয়েছে অনেক জল গড়িয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন রয়েই গেছে রাজনীতি আর টাকার লোভে কীভাবে এই রক্ষকরা হয়ে উঠছেন ভক্ষক! টাকা, ক্ষমতার লোভে কী আজ পুলিশ হারিয়েছে তার দায়িত্ববোধ? আরজি কর কাণ্ডেও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। আজ পুলিশ কী রক্ষকের বেশে ভক্ষক? দেখাব আজকের দ্বিতীয় পর্বে।

পুলিশ তুমি যতই মারো!

৩১ আগস্ট। ১৯৫৯। খাদ্য আন্দোলন। আশি জনের মৃত্যু হয় কলকাতার রাজপথে। তারপরেও কি থেমেছে পুলিশের এই কণ্ঠরোধের স্বভাব? কৃষক নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের এক স্লোগান তখন মুখে মুখে ‘পুলিশ তুমি যতই মারো, মাইনে তোমার একশো বারো’। আর আজ এই স্লোগানের পাঁচ দশক পর যখন আরজি কর কাণ্ডে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের লাঠি নেমে আসছে, প্রাথমিক তদন্তে নিয়ে উঠছে প্রশ্ন তখন একটাই স্লোগান দিকে দিকে, ‘পুলিশ তুমি চিন্তা করো, তোমার মেয়েও হচ্ছে বড়’। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আজও কেন প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ কি ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিচ্ছে না, জোর করে কণ্ঠ রোধ করলেও মানুষকে আটকানো যায় না। আটকানো যায় না গণ অভ্যুথ্যান। শাসক যন্ত্রে আটকে পরে বারবার পুলিশ কিভাবে তুলে নেয় বন্দুক, লাঠি? দেখাব আজকের তৃতীয় পর্বে।

কবে ফিরবে মেরুদণ্ড?

দিকে দিকে একটাই স্লোগান, WE WANT JUSTICE, আজ এক মাস পের হবে তিলোত্তমা হত্যার, এখনও বিচার তো দূর একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ছাড়া কেউই ধরা পড়েনি। কবে মিলবে বিচার? আদৌ কি মিলবে বিচার? এই আরজি কর কাণ্ড পুলিশের ওপর ভরসা তুলে দিয়েছে সাধারণ মানুষের? প্রথম থেকেই পুলিশের ভূমিকায় দাবি উঠেছিল সিবিআই তদন্তের। দাবি উঠেছিল বিচারবিভাগীয় তদন্তের। এই হারানো ভরসা কি ফেরানো সম্ভব? পুলিশের কি সম্ভব রাজনীতির নাগপাশ থেকে বেরিয়ে এসে মাথা উঞ্চ করে কাজ করা? দেখাব আজকের চতুর্থ অর্থাৎ শেষ পর্বে।

Follow Us: