AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Space Station: প্রস্তুত ভারতের মহাকাশ স্টেশনের নকশা, ২০২৮-এ যাত্রা শুরুর টার্গেট

Indian Space Station: প্রস্তুত ভারতের মহাকাশ স্টেশনের নকশা, ২০২৮-এ যাত্রা শুরুর টার্গেট

TV9 Bangla Digital

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Updated on: Jul 09, 2025 | 9:17 PM

Share

মহাকাশে ভারতের নিজস্ব ঘর, ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশনের প্রাথমিক নকশা তৈরির কাজ শেষ। ৫টি মডিউল এবং ৪ জোড়া সোলার প্যানেল নিয়ে তৈরি ভারতের মহাকাশ স্টেশন। বেস সেন্টার, কোর সেন্টার, সায়েন্স ল্যাব, কমন ওয়ার্কিং মডিউল এবং রিসোর্স সেন্টার – এই ৫টি মডিউল নিয়ে তৈরি হবে মহাকাশ কেন্দ্র। এমন একটা সময়ে এই খবর এল, যখন বাড়িতে বসেই […]

মহাকাশে ভারতের নিজস্ব ঘর, ভারতের নিজস্ব স্পেস স্টেশনের প্রাথমিক নকশা তৈরির কাজ শেষ। ৫টি মডিউল এবং ৪ জোড়া সোলার প্যানেল নিয়ে তৈরি ভারতের মহাকাশ স্টেশন। বেস সেন্টার, কোর সেন্টার, সায়েন্স ল্যাব, কমন ওয়ার্কিং মডিউল এবং রিসোর্স সেন্টার – এই ৫টি মডিউল নিয়ে তৈরি হবে মহাকাশ কেন্দ্র। এমন একটা সময়ে এই খবর এল, যখন বাড়িতে বসেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র চাক্ষুষ করা যাচ্ছে। খালি চোখেই ধরা দেবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র। ১০ তারিখ, বৃহস্পতিবার সুযোগ থাকছে। বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে বাইশ, চারটে আটান্ন এবং সন্ধে সাতটা উনষাট। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলা এবং ও উত্তরবঙ্গের মানুষ মোটামুটি একই সময়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র দেখতে পাবেন। যেখানে এখন রয়েছেন ভারতের শুভাংশু শুক্লা। আর, আজ থেকে ১০ বা ১২ বছর পরে, আমরা ঘরে বসে ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনকেই পাক খেতে দেখব।

গত বছর মার্চে নিজস্ব মহাকাশ স্টেশনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল ইসরো। প্রাথমিক নকশা তৈরির দায়িত্ব ছিল তিরবন্তপুরমের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের। মাত্র সাত মাসের মধ্যে সেই কাজ শেষ করল বিএসএসসির ডিজাইনিং টিম। সংস্থার ডিরেক্টর এস উন্নিকৃষ্ণ নায়ারের দাবি, ‘আমরা যে নকশা তৈরি করেছি, সেখানে পাঁচ মডিউলগুলিকে পৃথিবী থেকে জোড়া লাগিয়ে মহাকাশে পাঠানো যেতে পারে। আবার এক,এক করে বিভিন্ন মডিউল মহাকাশে পাঠিয়েও পাঁচটি অংশকে জোড়া সম্ভব। দুটো বিকল্পই ইসরোর সামনে থাকছে।’ ইসরো সূত্রে খবর, ২০২৮ সালেই মহাকাশে যাবে প্রস্তাবিত স্পেস সেন্টারের বেস মডিউল। নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরিতে এটাই প্রথম ধাপ। বিষয়টা সহজ করে বোঝাতে গিয়ে ইসরোর এক বিজ্ঞানী বললেন, ‘এটা অনেকটা থিম প্যান্ডেল তৈরির মতো। প্যান্ডেল করতে হলে আগে রাস্তায় প্যান্ডেলের খাঁচা তৈরি করতে হয়। তারপর আপনি স্টুডিও থেকে প্যান্ডেলের বিভিন্ন অংশ এনে বসিয়ে দিন, বা ওখানেই তৈরি করুন – আপনার ইচ্ছে। ২০২৮ সালে আমরা সেই খাঁচাটাই মহাকাশে পাঠাব। সেটাই টার্গেট।’

মহাকাশ স্টেশনের সেই খাঁচা পৃথিবীর নিম্নকক্ষে নিয়ে যাবে এলভিএম থ্রি রকেট। এর আনুমানিক ওজন হতে পারে ৫৬ টন। ইসরোর হয়ে এই কোট আনকোট খাঁচা তৈরির দায়িত্বে রয়েছে তিন সংস্থা। এদের অন্যতম হিউম্যান স্পেস ফ্লাইট প্রোগ্রাম। প্রসঙ্গত, বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টার যে পরিকল্পনা করেছে, ভারতের মহাকাশ কেন্দ্রের ওজন হতে পারে ৮০ হাজার থেকে দেড় লক্ষ কিলো। এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ডকিং পোর্ট। ইসরো নিজস্ব প্রযুক্তিতেই সেটি তৈরি করবে। চলতি বছর এপ্রিলে মহাকাশে দুই কৃত্রিম স্যাটেলাইটের সফল ডকিং করে ইতিহাস তৈরি করেছিল ইসরো। ইসরোর হাত ধরে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসাবে সেই সাফল্য অর্জন করেছিল ভারত। অর্থাত্‍ মহাকাশে একই বিন্দুতে পৌঁছনোর পর দুটি স্যাটেলাইট একে অন্যের সঙ্গে জুড়ে যাওয়া এবং পরে আলাদা হওয়া। সেটা ছিল ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থার দ্বিতীয় সফল ডকিং – আনডকিং। একই পদ্ধতিতে মহাকাশের একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে জুড়ে যাবে মহাকাশ স্টেশনের পাঁচটি মডিউল। ইসরো সূত্রে খবর, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আদলে ভারতের নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরির কথা কখনই ভাবা হয়নি। ভারতের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখেই মহাকাশ স্টেশন তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যে সুযোগসুবিধা থাকে, তার বেশ কিছু হয়তো ভারতের মহাকাশ স্টেশনে থাকবে না। আবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নেই, এমন কিছু পরিকাঠামোও থাকবে।