Case Against CV Ananda Bose: আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে তৃণমূল, লড়াইয়ে থাকার বার্তা গভর্নরের
CV Ananda Bose: শ্লীলতাহানির অভিযোগের ব্যাখ্যা দিল রাজভবন। রাজভবনের দাবি, ভোট নিয়ে যে সকল অভিযোগ রাজ্যের নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হচ্ছিল, সেই সব অভিযোগ নাকি 'ব্লক' করে দিচ্ছিলেন অভিযোগকারিণী! আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অলআউট আক্রমণে তৃণমূল, লড়াইয়ে থাকার বার্তা গভর্নরের...
ভোটের রঙ্গে সরগরম বঙ্গ। রোদের তাপও কাবু করতে পারেনি নেতা নেত্রীদের। ৪২ আসনের লড়াই নিয়ে যখন সবাই মেতে, তখন হঠাত্ করেই শহর কলকাতার সব থেকে বড় বাড়িটা নিয়ে তুমুল বিতর্ক। এর আগেও বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধের পর যে অভিযোগটা সামনে এল, সেটা শুধু বাংলা কেন গোটা দেশেও নজিরবিহীন। রাজবাড়ির অন্দরে কী হয়েছে আমরা কেউ জানি না। একটা অভিযোগ তোলা হয়েছে। রাজভবন সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছ। অভিযোগ ও তার পাল্টা নিয়েই এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
রাজভবনের পিসরুম। বাংলায় অর্থ শান্তিকক্ষ। পঞ্চায়েত ভোট হোক বা সন্দেশখালি। রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তৈরি করা পিসরুম। কিন্তু সেই পিসরুম যে রাজভবনের শান্তি কেড়ে নিতে পারে, এটা কেউ ভাবেননি। বৃহস্পতিবার সন্ধের পর সেটাই হল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এই পিস রুমে কর্মরত অস্থায়ী মহিলা কর্মী। হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
বাংলার রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ইতিহাসে এ এক বিরাট অভিযোগ। কারণ শুধু বাংলা নয়, দেশের কোনও রাজ্যের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে কি না, কেউ মনে করতে পারছেন না।বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসার পরেই আসরে নামে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এর পরেই পাল্টা বিবৃতি জারি করে রাজভবন জানিয়ে দেয়, অভিযোগ সম্পুর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অডিও বার্তায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের তির রাজ্যের শাসক দলের দিকেই। শুক্রবার রাজভবন দাবি করে, ভোট সংক্রান্ত যে সব অভিযোগ রাজভবনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হচ্ছিল, এক সহকর্মীর সাহায্য নিয়ে সেই সব অভিযোগ ব্লক করে দিচ্ছিলেন পিস রুমে কর্মরত ওই অভিযোগকারী মহিলা। তা ধরা পড়ে যাওয়াতেই তিনি শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলেন।
এ তো গেল অভিযোগের কথা। এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্তব্য ও পাল্টা মন্তব্যের কথা। সত্যি মিথ্যে আমরা কেউ জানি না। আমরা কথা বলতে পারি কয়েকটি সম্ভাবনা নিয়ে। এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই আপনারা অনেকেই শুনেছেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ভারতীয় সংবিধান নাকি সেই রক্ষাকবচ দিয়েছে রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতি পদকে। ভারতীয় সংবিধান ঘেঁটে আমরা কী পেলাম সেটা এবার আপনাদের দেখাই। কী বলছে ভারতীয় সংবিধান?