AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nepal Gen Z Protest: নেপালে গণ অভ্যুত্থানের পিছনে আসলে কার হাত?

Nepal Gen Z Protest: নেপালে গণ অভ্যুত্থানের পিছনে আসলে কার হাত?

TV9 Bangla Digital

| Edited By: সোমনাথ মিত্র

Updated on: Sep 11, 2025 | 5:32 PM

Share

এই হিংসার সূত্রপাত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে হলেও, ঘটনাপ্রবাহ যত এগিয়েছে, ধীরে ধীরে বোধগম্য হয়,যে ঐ ব্যানের বিষয়চি আসলে যজ্ঞে ঘৃতাহুতি মাত্র । শাসকদলের লাগাতার দুর্নীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি, সব মিলিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি শুধুই জনরোষ নয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর একটাসময় লাগাতার গুলি চালানোর পর হঠাৎ কেন পুলিশ ও সেনা নিরস্ত্র হয়ে যায়? প্রশ্নটা এখানেই, কার নির্দেশে?

গত দু’দিনে নেপালে যা হল, তা কার্যত অভাবনীয়। রবিবার দুপুরে কাঠমাণ্ডুতে শুরু হওয়া বিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে রাস্তায় অর্ধনগ্ন করে ঘোরানো হল। বিদেশমন্ত্রীকে ৫-৬ মিনিট ধরে পেটানো হল রাস্তায়। সেনা ও পুলিশ তখন প্রায় নীরব দর্শক। পাঁচতারা হোটেল, সরকারি দফতর, এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীদের বাড়ি পর্যন্ত ভাঙচুর করা হল।

এই হিংসার সূত্রপাত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে হলেও, ঘটনাপ্রবাহ যত এগিয়েছে, ধীরে ধীরে বোধগম্য হয়,যে ঐ ব্যানের বিষয়চি আসলে যজ্ঞে ঘৃতাহুতি মাত্র । শাসকদলের লাগাতার দুর্নীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি, সব মিলিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়ছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, বিষয়টি শুধুই জনরোষ নয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর একটাসময় লাগাতার গুলি চালানোর পর হঠাৎ কেন পুলিশ ও সেনা নিরস্ত্র হয়ে যায়? প্রশ্নটা এখানেই, কার নির্দেশে?

তদন্তকারীরা বলছেন, বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল ‘কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস’ নামে একটি এনজিও। প্রথমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ডাক দিলেও রবিবার রাতেই তারা সিদ্ধান্ত নেয়, আন্দোলন আরও তীব্র করতে হবে। আন্দোলনকারীদের উসকানি দেওয়া হয় পুলিশকে আক্রমণ করার জন্য। পুলিশ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষ যত তীব্র হয়েছে, পরিস্থিতি ততই ঘোরালো হয়েছে।

সবচেয়ে বড় ইঙ্গিত মিলছে সেনা ও পুলিশের ভেতরেই বিভাজনের। একদল বিক্ষোভকারীদের পক্ষে, আরেকদল প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দাঁড়িয়েছিল। সূত্রের খবর, সোমবার রাতে সেনা-পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের মধ্যে সমঝোতা হয়। এর পিছনে রয়েছেন এক বিদেশি কূটনীতিক ও এক প্রবাসী ব্যবসায়ী। সেই সমঝোতার পরেই সেনা-পুলিশ হাত গুটিয়ে নেয়।

সব মিলিয়ে নেপালের পরিস্থিতি শুধু জনরোষ বা হঠাৎ ঘটে যাওয়া বিদ্রোহ নয়। বরং পরিকল্পিত রাজনৈতিক পালাবদলের ফল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কয়েক মাস আগে রাজতন্ত্র ফেরানোর দাবিতে হওয়া আন্দোলনের পরও দেশে অস্থিরতা থামেনি। এবার হয়তো সেই অস্থিরতার পরিণতি দেখা গেল। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাম্প্রতিক ঘটনাগুলির সঙ্গে নেপালের ঘটনাকে অনেকেই একই সূত্রে গাঁথছেন।

Published on: Sep 11, 2025 05:30 PM