হাওড়া: আনিস কাণ্ডে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে আজকেই টিআই প্যারেড। আনিসের বাবা যাবেন টিআই প্যারেডে। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, যে সিভিক পুলিশ তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাঁকে চেনেন না। তবে বন্দুকধারী যে পুলিশ গিয়েছিলেন, তাঁকে চেনেন। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরই, বৃহস্পতিবার রাতে আনিসের পরিবারের হাতে নোটিস দিয়ে যান সিটের আধিকারিকরা। তাতে বলা হয়, উলুবেড়িয়া জেলে টিআই প্যারেড হবে। অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণের কাজ হবে।
আনিসের বাবা জানিয়েছেন, যাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদেরকে স্পষ্ট চিনতে পারছেন না। কেবল একজন লাঠিধারী পুলিশকে তিনি দেখেছিলেন। তাঁকে দেখলে তিনি চিনতে পারবেন। ইতিমধ্যেই সিটের তরফে আমতা থানার টহলদারি ভ্যানগুলির লোকেশন হিস্ট্রি চাওয়া হয়েছে। কোনওভাবে লোকেশন হিস্ট্রি দেখে তদন্তকারীরা বোঝার চেষ্টা করছেন গাড়িটি কি আনিসের বাড়ির কাছে এসেছিল? সেই রাতে যে পুলিশ কর্মীরা এসেছিলেন, তাঁরা কি ওই গাড়িতেই এসেছিলেন? নাকি তাঁরা অন্যভাবে এসেছিলেন? তা দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কোনও তথ্য লোকানো হচ্ছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আনিস খানের বাবা সালেম খান এদিনও দাবি করেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়েই তদন্ত করাতে হবে। সালেম খানের বক্তব্য, “যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা বলছে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। বলির পাঁঠা ওসি তৈরি করেছে। তা হলে ওসিকে ধরার জন্য, এর উপরে কে আছে তা জানার জন্য সিবিআই তদন্ত দরকার। আমি সেটাই চাই।”
আনিস মৃত্যুকাণ্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্য এবং হোমগার্ড কাশীনাথ বেরাকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়। রাজ্যের তৈরি সিটের তরফে আনিসের দেহের দ্বিতীয় ময়না তদন্তের আর্জি জানানো হয়। ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আনিসের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের ব্যাপারে তিনি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেবেন।
Basanti Accident: ধীরে ধীরে যুবক ঢুকে গেলেন গাড়ির যন্ত্রাংশের ভিতর, বুক হয়ে গেল এফোঁড়-ওফোঁড়! ভয়ানক দৃশ্যের সাক্ষী সঙ্গীরা