TV9 বাংলা ডিজিটাল: ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি! বাঁকুড়ার (Bankura) সভায় যেন সেই কথাটি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee in Bankura)। তৃণমূলে (TMC) থেকে কে কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে কথা হচ্ছে, সব খবরই তিনি রাখেন বলে জানান। কিন্তু এই মন্তব্য়ের ভিতর কোনও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা রয়েছে কিনা আতসকাচে ফেলে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবক্ষেকরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “কে কোথায় যাচ্ছে, কে কার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, কে কী করছে, সব আমার কাছে খবর আছে। আপনাদের একটা কথা বলি। ব্যক্তিগত কারও বিরুদ্ধে আপনাদের রাগ, ক্ষোভ থাকতে পারে। কিন্তু তৃণমূলকে খারাপ ভাববেন না।” সাংগঠনিক ভিত নমনীয় হওয়ার ভয় পাচ্ছেন কি নেত্রী? বাঁকুড়ার সভায় দাঁড়িয়ে বলা তাঁর কয়েকটি কথায় এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিরোধীদের আক্রমণ করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গলায় যে তীক্ষ্ণতা থাকে, এদিন তা কিছুটা হলেও ছিল নমনীয়। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, দলের অন্দরেই বিশ্বাসভঙ্গের ধাক্কাটা স্পষ্ট ছিল নেত্রীর কথায়। এরপরই সেই চেনা হুঙ্কার, ” এটা মনে রাখবেন, দিদি সব জানে। শুধু ছেড়ে রেখেছে।” এরপর তাঁর বলা প্রত্যেকটি কথা সমসাময়িক পরিস্থিতিতে যথেষ্টই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তিনি বললেন, “দু’-একজনকে দেখবেন, তৃণমূলও করছে, আবার অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছে। দলের মধ্যে কে কোথায় পর্যবেক্ষক তা নিয়ে অনেক কিছু ছক করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এরা ধান্দাবাজ, এই ধান্দাবাজদের একটা দল আছে।” সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে যখন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, মিহির গোস্বামীর মত নেতাদের দলীয় অবস্থান নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে, সেখানে নেত্রীর বলা কথায় সূক্ষ্ণ ইঙ্গিত রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
এরপরই একযোগে বিরোধীদের আক্রমণ ও সঙ্গে তাঁর সরকারি উন্নয়নের উর্ধ্বমুখী গ্রাফচিত্র তুলে ধরেন বাঁকুড়াবাসীর কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জগাই,-মাধাই-এক হয়েছে।’’ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে টাকা ছড়ানোর অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, টাকা নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোট দেবেন না। তাঁর কথায়, ‘জগাই,-মাধাই-এক হয়েছে।”
আরও পড়ুন: দলিত তাস! শিল্পীদের মন পেতে ভাতা দেওয়ার ঘোষণা কৈলাসের
বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে টাকা ছড়ানোর অভিযোগও তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, “টাকা নিয়ে নেবেন, কিন্তু ভোট দেবেন না।” তিনি ঘোষণা করেন, “১ ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে দুয়ারে সরকার যাবে। যাঁরা এখনও কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাননি, তাঁরা সেখানে গেলে পেয়ে যাবেন।”