বাঁকুড়া: বৈশাখে কাঠফাঁটা গরম। বেলা বাড়তেই চড়চড়িয়ে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। প্রবল গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ, নাভিশ্বাস উঠছে বাড়ি থেকে বেরতে গেলেই। তার মাঝেই আজ সাতসকালে শীতের পরিবেশ! ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেল চারিদিক। আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় হতবাক বাঁকুড়ার মানুষ। শুধু বাঁকুড়াই নয়, কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে। গ্রীষ্মে হঠাৎ শীতের কুয়াশা এল কোথা থেকে?
মার্চের শেষভাগ থেকেই বাঁকুড়ায় তাপমাত্রার গ্রাফ উঠতে শুরু করে। মার্চের শেষ দিনে তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই দিনের বেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকছে ৪০ ডিগ্রির আশপাশে। এরই মাঝে আজ সকালে আচমকাই ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারিদিক।
কুয়াশা এতটাই ঘন ছিল যে পঞ্চাশ ফুটের বস্তুকেও ঠিকমতো ঠাহর করা যাচ্ছিল না। ফলে যানবাহনের গতি শ্লথ হয়ে যায়। ট্রেন চলাচলও ধীর গতিতে করে। তবে বেলা বাড়তেই আবার কুয়াশার আস্তরণ সরিয়ে মাথার উপর উঠতে শুরু করেছে গনগনে সূর্য। বাড়তে শুরু করেছে গরমও। আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনায় রীতিমতো অবাক শহরের মানুষ।
তবে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনা কিন্তু নতুন কিছু নয়। স্থানীয় ভাবে কুয়াশা তৈরি হয়েই এমন ঘটনা ঘটে। যখন কোনও জায়গায় হঠাৎ জলীয় বাষ্প বেড়ে যায় এবং বাতাসের গতি কমে গেলে, স্থানীয়ভাবে এরকম কুয়াশা তৈরি হয়ে থাকে। এপ্রিলের শুরুতে যখন বাঁকুড়ায় খুব গরম পড়া শুরু করে, তখনও এরকম কুয়াশার খবর এসেছিল। আজ ফের বাঁকুড়া, কলকাতা সহ একাধিক জায়গায় সাতসকালে কুয়াশা দেখা গেল।