Bankura: ২৬ বছর পর হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পেল পরিবার

Hirak Mukherjee | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 17, 2024 | 4:31 PM

Bankura: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর গ্রামে বাবা, মা ও তিন ভাই বোনের মাঝেই বড় হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ পাইন। যখন তাঁর চব্বিশ বছর বয়স, তখন তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। সেই সময় বর্ধমান শহরের এক চিকিৎসকের কাছে তাঁর চিকিৎসার জন্য যায় পরিবার।

Bankura: ২৬ বছর পর হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে খুঁজে পেল পরিবার
বিশ্বজিৎ পাইন
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বাঁকুড়া: দীর্ঘ আঠাশ বছর আগে তিনি ছিলেন চব্বিশের বছরের তরতাজা যুবক। সে সময়ই কোনও ভাবে হারিয়ে যান তিনি। তারপর দীর্ঘ আঠাশ বছর আর কোনও খোঁজই ছিল না। এতদিন পর যুবক এখন প্রৌঢ়ত্বের দরজায় এসে খুঁজে পেলেন নিজের বাড়ি। কোতুলপুর থানার পুলিশ ও পরিবারের সহায়তায় অন্ধ্রপ্রদেশের একটি মানসিক হাসপাতাল থেকে নিজের কোতুলপুরের বাড়িতে ফিরলেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার মদনমোহনপুর গ্রামে বাবা, মা ও তিন ভাই বোনের মাঝেই বড় হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ পাইন। যখন তাঁর চব্বিশ বছর বয়স, তখন তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। সেই সময় বর্ধমান শহরের এক চিকিৎসকের কাছে তাঁর চিকিৎসার জন্য যায় পরিবার। কিন্তু বর্ধমান থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যান বিশ্বজিৎ। সে সময় পরিবারের সদস্যরা সর্বত্র খোঁজ করেও বিশ্বজিতের কোনও খোঁজ না পাওয়ায় তাঁরা কার্যত হতাশ হয়ে একসময় হাল ছেড়ে দেন।

এরপর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরে বিশ্বজিৎ ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন বাড়ির ছেলের হয়ত মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি, অন্ধ্রপ্রদেশের এক মানসিক হাসপাতালের চিকিৎসক কোতুলপুর থানায় ফোন করে জানান, “বিশ্বজিৎ তাঁর চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসাধীন বিশ্বজিৎই ওই চিকিৎসককে নিজের ঠিকানা দিতে পেরেছেন।” এরপরই বিশ্বজিতকে ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয়। মদনমোহনপুরে থাকা বিশ্বজিতের দাদা প্রথমে বিশ্বজিৎকে চিনতে না পারলেও পরে চিনতে পারেন তিনি। এরপর ভাইকে ফেরাতে রওনা দেন অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখান থেকে আজ কোতুলপুরে ফেরেন তাঁর পরিবারের লোকজন। দীর্ঘ ২৮ বছর পর নিখোঁজ ব্যক্তি বাড়ি ফিরে আসায় খুশি গোটা পরিবার।

 

Next Article