দুবরাজপুর: বীরভূমে অঙ্গনওয়াড়ি নিয়োগ প্যানেল লিস্টে নাম তৃণমূল নেত্রীর। বিজেপির অভিযোগ, টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হচ্ছে। তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। প্রসঙ্গত, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী নিয়োগের প্যানেল লিস্টে নাম রয়েছে বীরভূমের দুবরাজপুরের মহিলা তৃণমূল নেত্রী মুনমুন ঘোষের। এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বীরভূম জেলার রাজনৈতিক মহলে। মুনমুন ঘোষ বর্তমানে বীরভূম জেলা পরিষদের সদস্য। আবার তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্য দফতরের অস্থায়ী পদে নিযুক্ত রয়েছেন। যদিও মুনমুন দেবীর দাবি, সব দিক সামলে তিনি পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনার ফসল তাঁর এই চাকরি। দলের কাজ, বাড়ির কাজ সবকিছুই তিনি সামলে তারপর এই কাজ করবেন।
যদিও এই ঘটনাই তদন্তের দাবি করা হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে। যদিও বিরোধীদের পাত্তা দিতে চাইছেন না মুনমুন দেবী। তিনি বলছেন, “আপনাদের কী মনে হয় আমার কোনও যোগ্যতা নেই? আমি স্নাতক পাশ করেছি। কলেজ লাইফ থেকে রাজনীতি করি। রাজনীতি আমার নেশা। তারমানে এই নয় যে আমার কোনও যোগ্যতা নেই। সব ভালর পিছনেই বিরোধীদের কুৎসা থাকবে। আমি মনে করি আমি পড়াশোনা করেই কাজটি পেয়েছি। তাই বিরোধীরা কী বলল তাতে আমার কিছু এসে যায় না। আর সব কাজ সামলে আমি এখনও পড়াশোনা করি। ইচ্ছা থাকলে সব সামলে সবটা করা যায়। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তাই বিরোধীদের কথায় আমি কিছু মনেই করি না।”
তবে আক্রমণের রাস্তা থেকে সরে আসছে না বিজেপি। ফের একবার দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হয়েছে পদ্ম শিবির। ধ্রুব সাহা বলছেন, “অঙ্গনওয়ারির সব চাকরিই তো তৃণমূলের লোকেরা পেয়েছে। আমি তো অনেক গরিব মানুষের কথা বলেছিলাম। কাজটা পেলে সংসার চালাতে তাঁদের সুবিধা হতো। তাঁরা কেউ কাজ পায়নি। সব তৃণমূল টাকা নিয়ে নিজেদের লোককে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের কালচারই হচ্ছে এলোমেলো করে দে লুটেপুটে খাই। আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানাব। প্যানেল বাতিলের দাবিতে হাইকোর্টে যাব।”