বীরভূম: বগটুই হত্যাকাণ্ডে যে আগুন লাগানোর আগে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল, তার প্রমাণ মিলল। সোনা শেখের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল হাঁসুয়া, শাবল। হাঁসুয়া দিয়েই কুপিয়ে খুন বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। প্রথমে এই ঘটনায় জানা গিয়েছে, বাইরে থেকে শিকল তুলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
TV9 বাংলাই প্রথম জানায়, আগুন দেওয়ার আগে কোপানো হয়। সেই তত্ত্বেই এবার সিলমোহর পড়ল। রাজ্যের ফরেনসিক টিম যখন এসেছিল, তখনই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল, যে বাইরে থেকে আগুন লাগানো হয়নি। আগে তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকা হয়। সেখানে যাঁরা ভিতরে লুকিয়ে ছিলেন, সেই মহিলা ও শিশুদের অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। যখন তাঁরা চলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন, তখন তাঁদের গায়ে কোনও দাহ্য পদার্থ ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। সেটা পেট্রোলও হতে পারে। তারপর ঘরের ভিতর থেকে আগুন দিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার বিবরণ উঠে আসে এই ঘটনার এক জীবিত সাক্ষী কায়েম শেখ। কেন্দ্রের ফরেনসিক টিম তিন দিন ধরে ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছেন। রবিবার সোনা শেখের বাড়ির ভিতর থেকেই উদ্ধার হয় সেই অস্ত্র। মনে করা হচ্ছে ওই অস্ত্র দিয়েই আগে কোপানো হয়েছিল। এই বিষয়গুলি তদন্তের মোড় ঘোরাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেদিন গণহত্যা থেকে পালিয়ে বেঁচেছিল এক কিশোর। হাসপাতালের বেডে শুয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি। তাঁরও বক্তব্য়, “প্রথমে আমার ছোট মা, কাকিমাকে কু়ড়ুল দিয়ে কোপানো হয়। তার পর পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। সকলে হাত জোর করে বলেছে তাও শোনেনি ওরা। খুড়তুতো দুই বোনও অনুরোধ করেছিল।”
বগটুই কাণ্ডে সিবিআই হেফজতে মূল অভিযুক্ত আনারুল শেখ -সহ ১১ জন। তাদের প্রত্যেককে নিজেদের হেফাজতের নিল সিবিআই ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সিবিআই হেফজত তাদের। তদন্তকারীরা মনে করছেন. এই ১১ জনের ভূমিকাই নারকীয় হত্যালীলায় সব থেকে বেশি। যেহেতু এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুও হয়েছে একাধিক জনের, তাই তদন্তকারীদের মধ্যে মহিলাও রয়েছে। গ্রামবাসীদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন মহিলা ভয়ের কারণে মুখ খোলেননি, তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মহিলা তদন্তকারীরা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চা-জলখাবারে ১২ লক্ষ, বিজ্ঞাপনে ৮৪ লক্ষ… ‘ভাঁড়ে মা ভবানির’ রাজ্যে মেলার খরচ শুনলে চোখ কপালে উঠবে