Consumer Forum: চা-জলখাবারে ১২ লক্ষ, বিজ্ঞাপনে ৮৪ লক্ষ… ‘ভাঁড়ে মা ভবানির’ রাজ্যে মেলার খরচ শুনলে চোখ কপালে উঠবে
Kolkata: ২৫ মার্চ থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের এই মেলা।
কলকাতা: চা-জলখাবারের জন্য খরচ বারো লক্ষ টাকা! ঠিকই পড়েছেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার জন্য বরাদ্দ নয় লক্ষ টাকা। কোনও কর্পোরেট সংস্থা নয়, ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের তিনদিনের মেলার অর্থ বরাদ্দ দেখে চোখ কপালে ওঠার জো! এদিকে, রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের পাহাড় প্রমাণ বোঝা, ভাঁড়ে মা ভবানি অবস্থা। টাকার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের পেনশন। এত কিছুর পরও প্রশাসনের আদৌ হুঁশ ফিরছে?
২৫ মার্চ থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে চলছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের এই মেলা। বিভিন্ন খাতে অর্থ বরাদ্দ দেখাতে হচ্ছে। সেই দেখেই চমকে উঠছেন অনেকে। শুধুমাত্র সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন খরচ ৭৫ লক্ষ টাকা।টিভিতে বিজ্ঞাপনের জন্য ৮ লক্ষ টাকা খরচ। হোডিং, চেয়ার-টেবিল, বিদ্যুৎ-এর জন্য বরাদ্দ ৫০ লক্ষ টাকার উপরে। জলখাবারের জন্য ১২ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি সঞ্চালনার পুরো প্রক্রিয়ার জন্য খরচ ৯ লক্ষ টাকা। উপহার স্বরূপ ১ লক্ষ টাকার খরচ করার কথা বলা হয়েছে। মোট খরচ ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার বেশি।
কোথায় কী খরচ?
সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন খরচ ৭৫ লক্ষ টাকা
টিভিতে বিজ্ঞাপন ৮ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭০০ টাকা
হোডিং, চেয়ার-টেবিল, বিদ্যুৎ-এর জন্য ৫০ লক্ষ ৮২ হাজার
চা ও জলখাবার ১২ লক্ষ ২১ হাজার
উপহারের খরচ ১ লক্ষ ৩৬ হাজার
মোট খরচ ১ কোটি ৫৮ লক্ষ ৬৯ হাজার ৭০০
সম্প্রতি বাজেট পেশ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানে তিনি জানান, যে পরিমাণ আয় ঠিক সেই পরিমাণ ব্যায় করতে হবে। অতিরিক্ত খরচে টানতে হবে লাগাম। সেখানেই প্রশ্ন উঠছে এই রকম একটি মেলাতে কীভাবে এত খরচ করা হচ্ছে। গোটা মেলাটি তিনদিনের। এই তিনদিনে মোট খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকার উপরে। সূত্রের খবর, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে খরচ ছিল ১১ লক্ষের কাছাকাছি। তারপর এই বছর সেই খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে কোটিতে।
গোটা বিষয়ে ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া জানান, “এই মেলাতে প্রচুর অতিথি আসেন।বিভিন্ন জায়গা থেকে আসেন তাঁরা। তাঁদের আমরা নিজেদের কাছে নিয়ে এসে বসাই। চা-কফি থেকে সমস্ত পানীয় থাকে। উপহার দেওয়া হয় তাঁদের। এই বিষয়ে এর থেকে বেশি কোনও মন্তব্য করতে পারব না।যে অফিসাররা এত বছর ধরে মেলা করছেন তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। ”
ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মেলার মাধ্যমে প্রচুর মানুষকে সচেতন করা যায়। উদ্দেশ্য ভালো হতেই পারে। কিন্তু তা বলে এত টাকা খরচ করার কি আদৌ প্রয়োজন আছে?এই বাজেট কি কাটছাট করা যেত না? এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: Tarkeshwar: তারকেশ্বর যাওয়ার পথে গঙ্গা থেকে জল তুলতে গিয়ে তলিয়ে শেষ তরতাজা প্রাণ
আরও পড়ুন: Food Poisoning: গা পাকিয়ে উঠছে বমি, সঙ্গে তীব্র পেটে যন্ত্রণা, কারণ খুঁজতে গিয়ে মাথায় হাত সকলের