Anubrata Mondal: রবিবার হঠাৎই SP-র সঙ্গে চুপিচুপি বৈঠকে কেষ্ট, ভোটের আগে কী হচ্ছে বীরভূমে?
Birbhum: রবিবার ছুটির দিন বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এসআইআর নিয়ে বৈঠক করতে পারেন তিনি। কারণ, গতকালই একটি সভা থেকে কেষ্ট বলেছিলেন, "এখানে কোনও বাংলাদেশি নেই,রোহিঙ্গা নেই, মায়ানমারের লোক নেই। অসমে লোকদের জেলে ভরে ক্ষমতায় এসেছো। এখানে পারবে না। এখানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মানুষ লড়াই করতে ভয় পায় না।"

বীরভূম: বীরভূমে এসপি (SP)-র গোপন বৈঠক। সার্কিট হাউসে ছিল এই বৈঠক। রবিবার ছুটির দিনে হঠাৎই এই গোপন বৈঠকে জল্পনা ছড়িয়েছে নানুরে। কিন্তু কীসের জন্য এই বৈঠক হল? সেই বৈঠক নিয়ে কেন হঠাৎ করে এত গোপনীয়তা বজায় রাখা হল তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। কারণ, সামনেই বিধানসভা ভোট। তার আগে এমন একান্ত বৈঠক স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে।
রবিবার ছুটির দিন বিকেল তিনটে থেকে পাঁচটার মধ্যে এই বৈঠক হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে এসআইআর নিয়ে বৈঠক করতে পারেন তিনি। কারণ, গতকালই একটি সভা থেকে কেষ্ট বলেছিলেন, “এখানে কোনও বাংলাদেশি নেই,রোহিঙ্গা নেই, মায়ানমারের লোক নেই। অসমে লোকদের জেলে ভরে ক্ষমতায় এসেছো। এখানে পারবে না। এখানের মুখ্যমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মানুষ লড়াই করতে ভয় পায় না। লড়াই করতে ভয় পায় না বামফ্রন্টকে তাড়িয়েছে এখান থেকে। করতে দেব না এসআইআর, করতে দেব না এনআরসি।” গতকাল এই কথা বলার খানিক পরই বীরভূমের এসপি-র সঙ্গে বৈঠক নিতান্তই জল্পনার কেন্দ্রে। এর পাশাপাশি মনে করা হচ্ছে, সম্প্রতি নানুরে এক তৃণমূল নেতা খুন হন। তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওঠে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ নেতাকে খুন করেছে কাজল শেখের গোষ্ঠী। আর যেই নেতা খুন হয়েছেন তিনি কেষ্ট ঘনিষ্ঠ। ফলত, এই নিয়েও আলোচনা হতে পারে সংশ্লিষ্ট বৈঠকে বলে খবর।
বিজেপি নেতা সজল ঘোষ পুরো বিষয়টিকে কটাক্ষ করে বলেন, “খুন করানোর জন্য বৈঠক হতে পারে। আমার লোকজন খুন করবে। পুলিশ চুপ করে বসে দেখবে। বা উল্টোটাও হতে পারে। আমার লোককে কেন খুন করল কাজল গোষ্ঠী? জবাব দাও।” তবে, ছুটির দিনে এই বৈঠক নিতান্তই তাৎপর্যপূর্ণ।
