কোচবিহার: পদ্ম সম্মান প্রাপকদের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এবার পদ্মশ্রী পেলেন কোচবিহারের ভাওয়াইয়া শিল্পী গীতা রায়বর্মন। দারুণ খুশি তিনি। জানালেন, একেবারে ছোটবেলা থেকে গান করেন। তখন ভাল করে কথাও বলতে পারতেন না। এখনও সেই সাধনা চলছে। আর সেই সাধনায় এত বড় সম্মান, উচ্ছ্বসিত পরিবারের লোকেরা। গীতা রায় বর্মন বলেন, “কেমন লাগছে বলে বোঝাতে পারব না। যে কোনও পুরস্কারই ভাল লাগার। তবে এই সম্মানের তুলনা হয় না। আমার কাছে এটা অনেক বড় পাওয়া। খুব ছোট থেকে গান করি।”
ভাওয়াইয়া গান কোচবিহারের প্রাণ। গীতা রায় বর্মনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই। কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তিনি। প্রাথমিক স্তরে পড়াশোনা করার সময় থেকেই ভাওয়াইয়া গানের চর্চা করতেন। এখনও করেন। ইতিমধ্যে রাজ্য ভাওয়াইয়া সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় দু’বার সেরার শিরোপা পেয়েছেন তিনি। বেতারে এ-গ্রেড শিল্পী। এছাড়াও দূরদর্শনে প্রতিনিয়ত সঙ্গীত পরিবেশন করেন গীতা রায় বর্মন।
গীতা রায় বর্মনের এই সম্মানে খুশি ভাওয়াইয়া শিল্পীমহলও। জেলার শিল্পীর এমন সম্মানের খবর ছড়াতেই গীতা রায় বর্মনের বাড়িতে মানুষের ভিড়। কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা বিজেপি কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় ও মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মনও আসেন। স্থানীয় বহু ভাওয়াইয়া শিল্পীও আসেন তাঁর বাড়িতে।
কোচবিহার জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ। আমাদের একেবারে প্রান্তিক গ্রাম মাথাভাঙা। আর সেখান থেকে পদ্মশ্রী ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের উপরে। আমাদের কোচবিহারের প্রাণ এই সঙ্গীত। এখানকার আরও যাঁরা শিল্পী আছেন তাঁরাও অনুপ্রাণিত হবেন। আগামিদিনে ভাওয়াইয়া সঙ্গীতের চর্চা বাড়বে।”