Death Certificate: উধাও ১০০ ডেথ সার্টিফিকেট, টাকার বিনিময়ে বিক্রি হচ্ছে না তো? উঠল গুরুতর অভিযোগ
Siliguri: চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট জেলাশাসকের উদ্দেশে নির্দেশিকা দিয়ে জানায় দ্রুত এই ১০০টি ডেথ সার্টিফিকেট বাতিল বলে ঘোষণা করতে হবে। জনসমক্ষে নোটিস দিয়ে তা জানানো কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এরপর বেশ কয়েক মাস পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।

শিলিগুড়ি: এসআইআর আবহে মারাত্মক অভিযোগ। চুরি গিয়েছে আস্ত ডেথ রেজিস্ট্রার। কলকাতা হাইকোর্ট প্রায় ১০০ ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ বাতিল করার নির্দেশ দিলেও শীতঘুমে প্রশাসন। বাতিলও করা হয়নি সেগুলি। এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়ায় সেগুলি অসাধু উদ্দেশে ব্যবহার হবে না তো? এই প্রশ্ন নিয়েই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ এক ব্যক্তি।
কিছুদিন আগে জমি দখল সংক্রান্ত একটি মামলায় একপক্ষ তাঁর বাবার মৃত্যু সংক্রান্ত একটি ডেথ সার্টিফিকেট জমা দেন আদালতে। কিন্তু এই সার্টিফিকেট ছিল জাল। এরপরই মামলার অন্য পক্ষ রাজ্যের জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধীকরণ দফতরে ওই সার্টিফিকেটের আগে-পিছে থাকা মোট ১০০টি ডেথ সার্টিফিকেট কারা পেয়েছেন, তা জানতে চেয়ে আরটিআই করে।
সংশ্লিষ্ট দফতর জানিয়ে দেয়, এই নির্দিষ্ট সিরিয়াল নম্বরে ১০০ ডেথ সার্টিফিকেট কারা পেয়েছেন, সেই তথ্য তাদের কাছে নেই। পঞ্চায়েতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সেখান থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে ১০০ পাতার সার্টিফিকেটের একটি আস্ত বই। এরপরেই দ্রুত এসব বাতিলের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন জনৈক ব্যক্তি।
চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট জেলাশাসকের উদ্দেশে নির্দেশিকা দিয়ে জানায় দ্রুত এই ১০০টি ডেথ সার্টিফিকেট বাতিল বলে ঘোষণা করতে হবে। জনসমক্ষে নোটিস দিয়ে তা জানানো কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু এরপর বেশ কয়েক মাস পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও এই নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন যে জেলা শাসকের দফতর থেকে কোনও নির্দেশ আসেনি। তাই নিখোঁজ ওই বইয়ের ১০০টি সার্টিফিকেট বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়নি। অর্থাৎ আইনের চোখে এখনও সেগুলি বৈধ। ফলে এসআইআর-এর ক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেটগুলি টাকার বিনিময় কিনে কেউ ব্যবহার করে থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে। সব জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাকারী ওই ব্যক্তি।
মামলাকারীর দাবি, পঞ্চায়েতে বই নিখোঁজ। রাজ্যের দফতরে তথ্য নেই। হাইকোর্ট বলল ১০০ সার্টিফিকেট বাতিল করতে, অথচ আজ অবধি তা বাতিল করা হল না। ফলে কেউ নাগরিকত্ব পেতে টাকার বিনিময়ে এই সার্টিফিকেট কিনে ব্যবহার করতেই পারেন বলে আশঙ্কা। আগাম সবটা জানানোর পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের কপিও কমিশনে পাঠিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
