হুগলি: বিজেপির কোনও প্রতিনিধির উপস্থিতি ছাড়াই পোস্টাল ব্যালটে স্ট্রং রুমের সিল খোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শ্রীরামপুরে। বিজেপির দাবি, তাঁদের কাউকে না জানিয়ে সিল খোলা হয়েছে। যদিও তৃণমূল, সিপিএমের দাবি, বারবার ফোন করলেও বিজেপির কেউ ফোন না ধরায় সিল খোলা হয়।
শ্রীরামপুর লোকসভার ইভিএম মেশিন, ভিভিপ্যাট রাখার স্ট্রংরুম শ্রীরামপুর কলেজ। ভোটের পরই ইভিএম মেশিন ও ভিভিপ্যাট রেখে স্ট্রংরুম সিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে যেহেতু রোজই পোস্টাল ব্যালটের বাক্স আসছে, তাই তা নিয়মিত খোলা হয়। সে সময় সবদলের প্রতিনিধিরা থাকেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, রোজের মতই এদিনও কলেজে সকলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে কেউ এসে উপস্থিত হননি। শাসক, সিপিএম সকলেরই দাবি, বিজেপি অকারণে এটাকে ইস্যু করছে। এরকম কিছুই নয়। বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তৃণমূলের তরফে পাপ্পু সিং বলেন, “ঘটনা কিছুই না। পোস্টাল ব্যালট বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছে। এখানে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরাই আছেন। বিজেপির লোকজনকে বারবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেনি কেউ। এরপরই পোস্টাল ব্যালট রাখা হয়। লোক না থাকলে কী করব? বিজেপি প্রার্থী এসে এটাকে ইস্যু করছেন। এরকম কিছুই নয়। ইভিএম, ভিভিপ্যাট কিছুই নয়। একেবারে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা এটা।”
স্ট্রং রুমের সিসিটিভি ভিউয়িং রিপ্রেজেন্টেটিভ প্রলয়কুমার পালের কথায়, “আমরা কবীরদাকে নিয়ে ওখানে গিয়ে দেখি অনেক লোক, একজন মহিলাও ছিলেন। কবীরদা আরও-কে ফোন করেন। বলেন লোক পাঠাচ্ছেন। কবীরদা আরও-কে বলেন আমাদের কেন ডাকা হচ্ছে না? পোস্টাল ব্যালট নিয়ে সমস্যা। আমাদের লোক নেই। প্রতিটা পার্টির লোকের তো থাকার কথা। ঠিক সময়ে খবর দিচ্ছেন না ওরা।”
তবে এক্ষেত্রে সিপিএমের যিনি প্রতিনিধি সেই অরিন্দম ঘোষালও বলেন, “প্রতিদিনই পোস্টাল ব্যালট এসে গিয়েছে বলে ম্যাডাম ফোন করেন। আমাদের এজেন্টরা যায়। আজও ডাকে। আমাদের লোক যায়। বিজেপিকেও বারবার ফোন করা হয়েছিল। কেউ আসেনি। বারবার ফোন করা হয়েছে। কতক্ষণ অপেক্ষা করবে? পরবর্তীকালে সিল করা হলে বিজেপির এজেন্টরা এসে গন্ডগোল করার চেষ্টা করে।”