হুগলি: লোকসভায় বিজেপির ভোট প্রচারে এসে মতুয়া ভোটকেই টার্গেট করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হুগলি লোকসভায় প্রায় তিন লক্ষ মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটার আছে বলে দাবি মতুয়াদের। সেই ভোটকে কাজে লাগানোর জন্যই বারবার তাঁর মুখে নাগরিকত্ব আইন প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। লোকসভা নির্বাচনের আবহেই সিএএ কার্যকর হয়। আর তা নিয়ে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে। ঠিক এই বিষয়টিকেই হাতিয়ার করেছে শাসকদল। আর তার পাল্টা দিতে নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চকেই বেছে নিয়েছেন শুভেন্দু। শুক্রবার বলাগড় বারুজীবী ফুটবল মাঠে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে বিশাল জনসভা হয়। সেখানেই নাগরিকত্বের জন্য একটি ফর্ম হাতে তুলে দেখান শুভেন্দু।
অ্যানেক্সার তিন ফর্ম দেখিয়ে বলেন, “এটা ফিলাপ করলেই হবে কিছু লাগবে না।তৃণমূল ভুল বোঝাচ্ছে মানুষকে। কোন কাগজ লাগবে না।” শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন. “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছেন। এই ফর্ম ফিলাপ করে একজনেরও যদি নাগরিকত্ব যায় তিনি পদত্যাগ করবেন।”
নাগরিকত্ব আইন কার্যকরের স্পষ্ট ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “কোনও কাগজ লাগবে না। ফর্মের একটি কলামে রয়েছে সামাজিক সংস্থার।” উদাহরণ দিয়ে বলেন, “মন্দিরের পুরোহিতের কাছ থেকে একটি সার্টিফিকেট দিলেই আর কিচ্ছু লাগবে না ।তাহলেই আপনি নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। আমরা সব করে দেব। তাহলে আপনাকে প্রমাণ করতে হবে না আপনি বাংলাদেশি।”
শুভেন্দুর বক্তব্য, “চাকরির ক্ষেত্রে বা বিদেশে যাওয়ার সময় ভিসা লাগার জন্য নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয় সেটা সমাধানের জন্যই প্রধানমন্ত্রীর এই নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্পূর্ণ অপমানের হাত থেকে বাঁচানোর জন্যই এই সিএএ।”
প্রমথ রঞ্জন ঠাকুরের নেতৃত্বে ১৯৪৫ সাল থেকে যে লড়াই চলছে।মতুয়া সম্প্রদায়ের হরিচাঁদ ঠাকুর গুরুচাঁদ ঠাকুরের আদর্শ নিয়েই বিশেষ করে মতুয়া ,নমঃশূদ্র ও রাজবংশী সমাজ পরবর্তীকালে বাঙালি হিন্দুরা লড়াই করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন শুভেন্দু।