Howrah: তখন রাত ৩.৪০, বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন সকলে, হাওড়ার এই আবাসন ২০ মিনিটে হয়ে গেল নিঃস্ব
Howrah: রূপোর ব্যবসায়ী পদম দিন কয়েক আগে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে চোরেরা তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নগদ এবং কয়েক লক্ষ টাকার সোনা এবং রূপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চারটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ টাকা এবং গয়না মিলিয়ে মোট ৪০ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে।
হাওড়া: পাঁচ তলা আবাসন। কিন্তু সেই আবাসনের কোন কোন ফ্ল্যাট দিনের বেশিরভাগ সময়ে ফাঁকা থাকে, সেটা আগে থেকেই রেইকি করে রেখেছিল ওরা। তারপর বৃষ্টিভেজা রাতে সুযোগ বুঝে নিঃশব্দে ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে। কেউ কিছু টেরই পেলেন না। মধ্য হাওড়ার রাজবল্লভ সাহা লেনের একটি বহুতল আবাসনে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা। জানা যাচ্ছে, ভোর রাতে চোরেরা মেইন গেটের তালা ভেঙে আবাসনের ভেতরে ঢুকে যায়। একে একে চারটি ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে নগদ টাকা, সোনা এবং রূপোর অলংকার নিয়ে চম্পট দেয়।
আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জানা গিয়েছে, তিন জনের চোরের দল বেছে বেছে সেসব ফ্ল্যাটেই অপারেশন সারে যেখানে কেউ ছিলেন না। চোরেরা প্রথমে একতলার একটি ফ্ল্যাটে তালা ভেঙে ঢুকে যাবতীয় সোনার গয়না এবং টাকা পয়সা চুরি করে। একই কায়দায় আরও তিনটি ফ্ল্যাটে পরপর চুরি করে। অপারেশনের সময় উল্টো দিকের প্রত্যেকটি ফ্ল্যাট বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সবচেয়ে বেশি চুরি হয়েছে পাঁচতলায় মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা পদম প্রসাদের ফ্ল্যাটে।
রূপোর ব্যবসায়ী পদম দিন কয়েক আগে দেশের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে চোরেরা তাঁর ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা নগদ এবং কয়েক লক্ষ টাকার সোনা এবং রূপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, চারটি ফ্ল্যাট থেকে নগদ টাকা এবং গয়না মিলিয়ে মোট ৪০ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাওড়া থানার পুলিশ। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ওই আবাসন থেকে সিসিটিভি ফুটে সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজ যে তিন জন চোরকে অপারেশনের পর ফ্ল্যাট থেকে বের হতে দেখা যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান চোরেরা আগে থেকেই জানত কোন কোন ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা নেই। বেছে বেছে সেইসব বাড়িতেই অপারেশন করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় কোন দুষ্কৃতীর যোগ থাকতে পারে। ওই আবাসনে নিরাপত্তা কর্মী না থাকায় চুরির পর চোরেরা নিঃশব্দে বেরিয়ে যায়। তাদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে। এদিকে এই ঘটনায় আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আবাসনের এক বাসিন্দা বলছেন, “আমরা তখন সবাই ঘুমোচ্ছিলাম। সিসিটিভি ফুটেজে আমরা সবটা দেখি। তখন রাত ৩.৪০ মিনিট বাজে। প্রথম থার্ড ফ্লোরে একটা ঘরে যায়। সেখানে অল্প সামগ্রী পায়। তারপর পাঁচ তলায় যায়, সেখানে অনেক অ্যামাউন্টের সব পায়। আরেকটা পরিবার মহারাষ্ট্রে থাকে, তাঁদের পরিবারেও চুরি হয়। মোট পাঁচটা ফ্ল্যাটে চুরি হয়। মোট ৪০-৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)