Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযানে অশান্তি, বিডিও অফিসের কর্মী-সহ ১৩ জন গ্রেফতার
Nabanna Abhijaan: নবান্ন অভিযান আটকাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন, রক্তাক্ত হয়ে চোখ খোয়াতে বসেছেন কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট। একাধিক সাধারণ মানুষও আহত হন। এই ঘটনায় হাওড়া সিটি পুলিশ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
হাওড়া: নবান্ন অভিযানে অশান্তি পাকানোর অভিযোগে এখনও অবধি ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া পুলিশ। এর মধ্যে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের এক সদস্যও আছেন। তিনি দুর্গাপুরের কাঁকসার বিডিও অফিসের কর্মী। গত মঙ্গলবার (২৭ অগস্ট) নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কলকাতা ও হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর তরফে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। আর তা ঘিরেই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় হাওড়া ময়দান, ফোরশোর রোড, সাঁতরাগাছি এলাকায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারিদের মারধর, খুনের চেষ্টা, সরকারি কাজে বাধা, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
নবান্ন অভিযান আটকাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী আহত হন, রক্তাক্ত হয়ে চোখ খোয়াতে বসেছেন কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট। একাধিক সাধারণ মানুষও আহত হন। এই ঘটনায় হাওড়া সিটি পুলিশ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এরমধ্যে শিবপুরের ঘটনায় শিবপুর থানা একজনকে, সাঁতরাগাছির ঘটনায় জগাছা থানা পাঁচজনকে ও হাওড়া ময়দানে অশান্তির ঘটনায় হাওড়া থানা সাতজনকে গ্রেফতার করেছে।
এরইমধ্যে শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নামে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের এক সদস্যও রয়েছেন। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ ডিএ বাড়ানোর দাবি নিয়ে সরব। মঙ্গলবার তাঁরাও সক্রিয়ভাবে এই অভিযানে ছিল। দুর্গাপুরের কাঁকসার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার ধৃতদের হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক একদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ফের বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের চারদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে এদিন অসুস্থতা বোধ করায় শুভঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়কে সন্ধ্যায় হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি বর্ধমানের কাঁকসা বিডিও অফিসের কর্মী।