Dhupguri: জোরে জোরে শ্বাস ফেলছে রান্নাঘরে! দরজা ঠেলতেই বাড়ির লোকেরা অবাক
Dhupguri: বনবস্তির বাসিন্দা বিশ্বনাথ ওরাওঁয়ের বাড়ি থেকে কিং কোবরাটি উদ্ধার করা হয়। এদিন কিং কোবরাটিকে দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় বাড়ির ভিতরে। আতঙ্কে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় বাড়ির মেয়ে বউদের। এরপরই খবর দেওয়া হয় বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা লোকজনকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য সাবুল হক। প্রায় আধ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় কিং কোবরাটিকে উদ্ধার করা হয়।
ধূপগুড়ি: সকালে তখনও রান্নাঘরে কেউ ঢোকেননি। কেমন একটা শব্দ আসছিল রান্নাঘরের ভিতর থেকে। মনে হচ্ছিল ফোস ফোস করছে কিছু একটা। এরপরই রান্নাঘরের দরজা খুলতে চোখ কপালে উঠল বাড়ির লোকের। রান্নাঘর থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১২ ফুট লম্বা একটি কিং কোবরা সাপ। মেটেলি ব্লকের মূর্তি বনবস্তি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বনবস্তির বাসিন্দা বিশ্বনাথ ওরাওঁয়ের বাড়ি থেকে কিং কোবরাটি উদ্ধার করা হয়। এদিন কিং কোবরাটিকে দেখতে পেয়ে বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায় বাড়ির ভিতরে। আতঙ্কে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় বাড়ির মেয়ে বউদের।
এরপরই খবর দেওয়া হয় বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা লোকজনকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য সাবুল হক। প্রায় আধ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় কিং কোবরাটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় মূর্তি বিট অফিসে। কিং কোবরাটি একেবারেই সুস্থ রয়েছে। তাই তাকে গরুমারা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রায় ১২ ফুট লম্বা কিং কোবরাটিকে যখন উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির সামনে ভিড় করেন এলাকার লোকজন।
সর্পবিশারদ মিন্টু চৌধুরী বলেন, যেহেতু পাহাড়ে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং জঙ্গল লাগোয়া নদীগুলিতে জল বেড়ে গিয়েছে। তাই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে শুধু মানুষই নয়, কিং কোবরা-সহ অন্যান্য সাপ। তাই মানুষের ঘরে, গাছের উপরে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিতে ঢুকে পড়ছে তারা। মানুষকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। সাপ দেখলে বনদফতরকে খবর দিতে বলেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর পরামর্শ, এসব ক্ষেত্রে সেলফি তোলার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। মিন্টু চৌধুরী বলেন, “অতি উৎসাহিত হয়ে বিরক্ত করতে যাবেন না। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।”