
মালদহ: শুরু হয়ে গিয়েছে মূল পর্বের এসআইআর পর্ব। ট্রেনিং শেষে এবার বাড়ি বাড়ি যেতে শুরু করেছেন বিএলও-রা। আর এই পর্বের উঠে আসছে গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগ। কোথাও অভিযোগ, খোদ বিএলও-ই তৃণমূল কর্মী। কোথাও আবার অভিযোগ, অনুমোদন ছাড়াই বিএলও-র সঙ্গে বিএলও হিসাবে ঘুরছেন তৃণমূল কর্মীরা। এরইমধ্যে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠছে মালদহ থেকে। অভিযোগ, বিএলও-কে সঙ্গে নিয়ে ঘুরছেন তৃণমূল নেতা। সঙ্গে একদল তৃণমূল কর্মী। এই বিতর্কেই সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল।
বিজেপির অভিযোগ মালদহ জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিএলও ২ এর বদলে বিএলও-র সঙ্গে একদল তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে ঘুরছেন ওই তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ পদ্ম শিবির। ঘটনা মালদহের চাঁচলের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিঘি গ্রামের।
বিএলএ-দের বাদ দিয়ে তৃণমূলের সহকারি সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতির উপস্থিতিতে BLO-দের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতাদের। মালদহ উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অভিষেক সিংঘানিয়া রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলছেন, “বিএলও-দের প্রভাবিত করছেন রফিকুলবাবু। উনি কি বিএলএ ২? তাহলে কোন অধিকারে তিনি যাচ্ছেন বাড়ি বাড়ি? আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করব।”
অন্যদিকে রফিকুল হোসেন বলছেন, “বিএলএ ২ ও আমরা যাঁরা জনপ্রতিনিধি রয়েছি তাঁরা যেন সবসময় বিএলও-দের ছায়াসঙ্গী হিসাবে থাকি তা আমাদের দলীয় স্তরে নির্দেশ রয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে কোনও সমস্যায় না পড়ে তা দেখতে বলা হয়েছে। এদিন চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রের ১৯১ নম্বর বুথে বিএলও কাজ শুরু করেছেন। সুন্দরভাবেই কাজ হচ্ছে। কোনও ভোটার যাতে বাদ না যায় সেটা আমরা বিএলও-কে বলেছি।”