Maldah: দিদির বাড়িতে ফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন ভাই, সেই বাড়িতেই মিষ্টির রসে মিশল ভাইয়ের রক্ত
Maldah: সেই সময় রকির বাবা কৈলাশ স্বর্ণকার উত্তেজিত হয়ে ঘর থেকে ক্রিকেট ব্যাট এনে রবিকে পেটাতে থাকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রবি৷ চাপ চাপ রক্ত ছড়িয়ে পড়ে মাটিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যায়।
মালদহ: দিদির বাড়িতে ফোঁটা নিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দিদি-জামাইবাবুর মধ্যে অশান্তি। সেই অশান্তির মধ্যস্থতা করতে গিয়ে দিদির শ্বশুরের হাতে ‘খুন’ ভাই। এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই দিদির শ্বশুরের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের সাহাপুরের বাগানপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রবি মণ্ডল (২৩)৷ বাড়ি ইংরেজবাজারের তেলিপুকুর এলাকায়৷ তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবির দিদির প্রীতি মণ্ডলের বিয়ে হয়েছিল সেতু মোড় সংলগ্ন এলাকার যুবক রকি স্বর্ণকারের সঙ্গে৷ বুধবার নিজের স্ত্রীকে নিয়ে রবি দিদির বাড়ি বেড়াতে যান। ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছিলেন। ভাইয়ের জন্য মিষ্টিও থালায় সাজিয়ে রেখেছিলেন দিদি। এরই মধ্যে দিদি জামাইবাবুর মধ্যে পারিবারিক বিবাদ বাধে৷ সেই বিবাদের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে যান রবি।
সেই সময় রকির বাবা কৈলাশ স্বর্ণকার উত্তেজিত হয়ে ঘর থেকে ক্রিকেট ব্যাট এনে রবিকে পেটাতে থাকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রবি৷ চাপ চাপ রক্ত ছড়িয়ে পড়ে মাটিতে। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে যায়। তড়িঘড়ি তাঁকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন৷
অভিযোগ, পুলিশকে না জানিয়ে ময়নাতদন্ত না করেই দেহ আবার দিদির বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ যদিও ইতিমধ্যেই সেই খবর পেয়ে বাড়িতে যায় মালদহ থানার পুলিশ৷ দেহ আবার পাঠানো হয় ওল্ড মালদা মৌলপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চিকিৎসকরা মৃত্যু নিশ্চিত করার পরে রবির মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যালে পাঠানো হয়৷ অভিযোগ, তখন সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন শ্বশুর কৈলাশ স্বর্নকার। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।