মুর্শিদাবাদ: সকাল থেকেই শুরু হয়েছিল গণ্ডগোল। কিন্তু তার পরিণতি যে এত ভয়ঙ্কর হবে তা বুঝে ওঠা যায়নি। কর্মরত দুই বিএসএফ জওয়ানের মৃত্যু। গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই দুই জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর মৃত দুই বিএসএফ জওয়ানের নাম এসজি শেখর (৪৪) ও জনসন থাপা (৪৫)। জনসন থাপার বাড়ি ছত্তিশগড়। আজ সকালে এসজি ও জনসনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এরপর একে অন্যের উপর চড়াও হয় তারা। প্রথমে হয় হাতাহাতি। তারপর তা পৌঁছায় ঝামেলায়। এরপরই এমন ভয়ঙ্কর পরিণতি। দু’জনই একে অন্যের সার্ভিল রিভালবার থেকে গুলি চালায় একে অন্যকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। ওই দুই জওয়ান জলঙ্গি কাকমারি চর ১১৭ ব্যাটেলিয়ান কর্মরত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে এক বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়। ভারত বাংলাদেশে সীমান্তে নদীর হাঁটু জলে মেলে জওয়ানের দেহ। নিহত বিএসএফ জওয়ানের নাম বিবেক তেওয়ারি (৩৬)। এই ঘটনার পর থেকেই বামনগোলা থানা এলাকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়। ইতিমধ্যেই মালদার বামনগোলা থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫৯ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ-এর এই জওয়ানের কফিনবন্দি দেহ পঞ্জাবের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৫৯ ব্যাটালিয়ানের বামনগোলা ব্লকের খুটাদহ ক্যাম্পের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার হাড়িয়া নদীতে ওই বিএসএফ জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়।
বিএসএফ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক মাস ধরেই মালদার সীমান্তবর্তী এলাকা হবিবপুর, বামনগোলা এলাকায় বাংলাদেশি গরু পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। গত শুক্রবারই ওই এলাকার হবিবপুরের ১৫৯ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের গুলিতে এক বাংলাদেশি পাচারকারীর মৃত্যু হয়। এরপরেই বামনগোলা ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে খুটাদহ ক্যাম্পের ধারে নদীতে এই বিএসএফ জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে গোটা এলাকা জুড়েই চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: Nadia Newborn Baby: কাপড়ে মোড়া নর্দমার জলে পড়ে ছোট্ট হাত-পা, কাছে যেতেই এলাকাবাসী চমকে উঠলেন