Students Return from Ukraine:তখনও ট্রিগারে হাত দিয়ে সেনা… কাঁপা হাতে পড়ুয়ারা চেপে ধরে আছেন তেরঙ্গা! হঠাৎ…

Malda: মালদার হরিশচন্দ্র পুরের বাসিন্দা মাসুম হামিদ পারভেজ। কিভ মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া তিনি।

Students Return from Ukraine:তখনও ট্রিগারে হাত দিয়ে সেনা... কাঁপা হাতে পড়ুয়ারা চেপে ধরে আছেন তেরঙ্গা! হঠাৎ...
মাসুম হামিদ পারভেজ (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 07, 2022 | 1:33 PM

মালদা: একটি ছোট বাঙ্কার। তাতে লুকিয়ে রয়েছেন প্রায় পঞ্চাশ জন পড়ুয়া। প্রাণ বাঁচাতেই এমন পদক্ষেপ। কিন্তু সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে ওরা যখন সুদূর ইউক্রেনে পড়তে গিয়েছিলেন, তখন জানতেন না পথেই ওঁত পেতে বসে রয়েছে বিপদ। এই এক আলাদা অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন মালদার ইউক্রেন ফেরত ডাক্তারি ছাত্র মাসুম হামিদ পারভেজ।

মালদার হরিশচন্দ্র পুরের বাসিন্দা মাসুম হামিদ পারভেজ। কিভ মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া তিনি। মাসুদের কথায়, ওই মুহুর্তে এটা যেন নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাঁচার আর কোনও পথ নেই। ছোটো বাঙ্কারে একসঙ্গে পঞ্চাশ জনের বেশি ছাত্র ছাত্রী লুকিয়ে। পর্যাপ্ত খাবার, জল নেই। গাদাগাদি করে থাকা। আর তারমধ্যে বারবার সাইরেনের শব্দ। আর তারপরেই একাধিকবার গোলাবর্ষণ। চোখের সামনেই দেখেছিলেন সেনাবাহিনীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে বাবা-ছেলের প্রাণ। এই সব মুহুর্ত যেন বিভীষিকা মাসুমের কাছে। পড়তে যাওয়ার সময়ও কি ভেবেছিলেন এইসব ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকতে হবে তাঁদের?

মাসুদ বলেছেন, মৃত্যু যে নিশ্চিত তা ধরেই নিয়েছিলেন তাঁরা। তবে বাঁচিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় পতাকা। বুকে প্রাণপণে তেরঙ্গা জড়িয়ে ঈশ্বরকে স্মরণ করে মনের জোরে হেঁটে গিয়েছিলেন টানা ১১ কিলোমিটার পথ।মরিয়া হয়ে গিয়েছিলেন প্রাণে বাঁচার জন্য। সেই কারণেই বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে বুকে ভারতের পতাকা জড়িয়ে কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে নিকটবর্তী ষ্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা।

কাছের স্টেশন ১১ কিলোমিটার দূরে। পায়ে হেঁটেই যেতে হবে। তখন ভারতের পতাকাই অস্ত্র। পতাকাই ঢাল। চারদিকে সশস্ত্র সেনা। অনবরত চলছে ফায়ারিং। তারমধ্যেই হাঁটা। চোখের সামনে বেসমেন্টে লুকোতে গিয়ে গুলিতে লুটিয়ে পড়ল ইউক্রেনীয় এক পরিবার,বাবা ছেলে। শুধুমাত্র ভারতের পতাকা দেখে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সেনারাও তাঁদের সেভ জোনে রাস্তা পার করিয়ে দিল।

প্রায় দৌড়ে গিয়েই ধরতে হয়েছে মাসুদদের। লাগেজ ফেলে শুধু নিজের আইকার্ড অন্যান্য ডকুমেন্ট নিয়ে ট্রেনের গাদাগাদি ভিড়ে উঠেছিলেন ওরা। অবশেষে হাঙ্গেরি হয়ে মুম্বই এবং সেকগান থেকে কলকাতা। কলকাতা থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে একেবারে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ।

আরও পড়ুন: Nadia Newborn Baby: কাপড়ে মোড়া নর্দমার জলে পড়ে ছোট্ট হাত-পা, কাছে যেতেই এলাকাবাসী চমকে উঠলেন