মুর্শিদাবাদ: আরজি করকাণ্ডে কর্মবিরতি চলছেই। জরুরি পরিষেবা ছাড়া রোগীদের ভর্তি নিচ্ছেন না মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বাকেও ভর্তি না নিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু তাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের সদস্যরা।
মঙ্গলবার সকালে বহরমপুর গোড়াবাজারের সংলগ্ন শেখ পাড়া থেকে মুনিফকে ভর্তি করতে নিয়ে যান তাঁর স্বামী। কিন্তু চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলার জন্য চিকিৎসকদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, জরুরি বিভাগে ভর্তি করাতে হবে। একমাত্র সেখানেই রোগীর পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের ভর্তি করাতে এসে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্তঃসত্ত্বার পরিবারের সদস্যরা। অন্তঃসত্ত্বার স্বামী বলেন, “কোথায় কী হয়েছে, তার জন্য তো আমরা দায়ী নই, সরকারি হাসপাতালে আমরা পরিষেবা পাওয়ার জন্য আসি। চিকিৎসক এমারর্জেন্সিতে ভর্তি করার জন্য বলেছেন, তাই নিয়ে এসেছিলাম কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি নিল না।”
সোমবার হাসপাতালে কর্মবিরতি চলায় বালুরঘাট সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাট হাসপাতালে। অভিযোগ, সময়মত চিকিৎসক যাননি হাসপাতালে। তার জেরেই তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুর অভিযোগ বালুরঘাট হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, প্রায় ২ ঘন্টা পর যান চিকিৎসক৷ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে ভাঙচুর চালান প্রতিবাদীরা। দ্বিতীয়টি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। চার ঘণ্টা ওপিডিতে অপেক্ষা করলেও চিকিৎসকের দেওয়া পাওয়া যায়নি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাতে মৃত্যু হয় এক যুবকের।