Murshidabad: সন্দেশখালি-ক্যানিং-ভাঙড় থেকে বেলডাঙায় বাড়ছে ভিড়, ‘আবেগের টানে এসেছি’, বলছেন সংখ্যালঘুরা
Humayun-Babri Masjid: একদিকে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে আর পাশেই তৈরি হবে মঞ্চ, সেখানে উপস্থিত থাকবেন মউলানারা। দু'দিকই একেবারে প্রস্তুত। রাতেই হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ। নিরাপত্তার দিক নিশ্চিত করছে পুলিশ প্রশাসন। আর ভোর হতে দেখা গেল, অনেকেই ইট মাথায় করে নিয়ে হাজির হচ্ছেন।

বেলডাঙা: শনিবার দিনভর গোটা রাজ্যের নজর থাকবে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। হুমায়ুন কবীর দাবি করেছেন, বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনে সামিল হবেন হাজার হাজার মানুষ। সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। রাতেই এলাকা পরিদর্শন করেছেন ভরতপুরের বিধায়ক তথা তৃণমূল থেকে সদ্য সাসপেন্ড হওয়া হুমায়ুন। পুলিশের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেছেন তিনি। এদিন সকাল থেকেই দেখা গেল, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে যাচ্ছেন সংখ্যালঘুরা। কোনও রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়া ভোর থেকে একে একে হাজির হচ্ছেন তাঁরা।
একদিকে বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হবে আর পাশেই তৈরি হবে মঞ্চ, সেখানে উপস্থিত থাকবেন মউলানারা। দু’দিকই একেবারে প্রস্তুত। রাতেই হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশ। নিরাপত্তার দিক নিশ্চিত করছে পুলিশ প্রশাসন। আর ভোর হতে দেখা গেল, অনেকেই ইট মাথায় করে নিয়ে হাজির হচ্ছেন। তাঁরা চান, তাঁদের দেওয়া ইটেই গাঁথা হোক বেলডাঙার বাবরি মসজিদ।
প্রশ্ন করে জানা গেল, কেউ গিয়েছেন ক্যানিং থেকে, কেউ সন্দেশখালি থেকে, কেউ ভাঙড়, কেউ ইটাহার, কেউ সুন্দরবন, কেউ বিষ্ণপুর. কেউ দেগঙ্গা থেকে। রাজনৈতিক পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা বলছেন, “আমরা কোনও দলের সঙ্গে যুক্ত নই। মসজিদ হচ্ছে বলেই শুধু এসেছি।” আবার কেউ রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ার কথা স্বীকার করলেও, বলছেন, “এখানে এসেছি মুসলিম হিসেবে। মসজিদ হচ্ছে, তাই আবেগের টানে এসেছি।”
কেউ গাড়ি ভর্তি ইট নিয়েহাজির হচ্ছেন, আবার যার আর্থিক ক্ষমতা তেমন নয়, তারা ২-৩টে ইট নিয়েও হাজির হচ্ছেন। NH-12-এর ঠিক পাশেই মসজিদ তৈরি করার কথা হুমায়ুনের। সেখানেই সকাল থেকে জমায়েত বাড়ছে। তবে তাঁরা চান, শুধু মসজিদ নয়, পাশাপাশি স্কুল-হাসপাতালও তৈরি হোক বেলডাঙায়।
