নদিয়া: ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে কটাক্ষের বাণ বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুর। আগামিদিনে তৃণমূলে আর লোকই খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে দাবি করেন তিনি। একইসঙ্গে সায়ন্তন বলেন, তৃণমূলে লোক বলতে তখন দু’জনকে বোঝাবে। দু’জনের ঠিকানাই হল কালীঘাট। বুধবার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর হাই স্কুলের মাঠে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। সেখানেই তৃণমূলের ‘ভবিষ্যৎবাণী’ শোনালেন তিনি।
এদিন কৃষ্ণনগরে গিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলেন সায়ন্তন বসু। বলেন, “ভুয়া ভোটার তালিকা তৈরি করে সীমান্ত দিয়ে লোক ঢোকানো হচ্ছে। বিশেষ করে নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর বাংলাদেশী মুসলমানের নাম ঢোকানো হচ্ছে। এগুলি একটু ভোটার তালিকা ধরে দেখুন। নির্বাচন কমিশনকে জানান। আমাদের জানান।”
আরও পড়ুন: আচমকা বিকট শব্দে থেমে গেল বাস, কেউ মাটিতে, কারও মাথা জানলার কাঁচে
বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, উত্তাপ বাড়ছে বঙ্গ রাজনীতিতে। একদিকে শাসকদল তৃণমূল যখন নানা অভিযোগে মূল বিরোধী বিজেপিকে বিদ্ধ করছে। তখন বিজেপিও একের পর এক ‘হুমকি’, ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়ে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে। কখনও দিলীপ ঘোষ বলছেন, ডিসেম্বরের পর তৃণমূলের মুষলপর্ব শুরু হবে। আবার কখনও সায়ন্তন বসু বলছেন, ভোটের পর দলটাই উঠে যাবে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের মদতে পড়শি দেশ থেকে দেদার অনুপ্রবেশ হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিজেপির।
আরও পড়ুন: পার্টি সেরে ফেরার পথে গাড়ি পিষে দিল তরুণীকে, আহত সঙ্গী তরুণ
চায়ে পে চর্চার কর্মসূচি থেকেই সায়ন্তনের হুঁশিয়ারি, “মাথায় রাখবেন ১৯ ডিসেম্বরের পরে তৃণমূলকে না জেতাতে পারার জন্য প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা উশুল করব। আর বাংলার মানুষকে দিয়ে দেব। এরপর আর তৃণমূল করার লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। কালীঘাটের দু’জন ব্যক্তিত্ব শুধু থাকবেন।”