Nabadwip: এই বাংলায় আবারও সম্প্রীতির ছবি, নবদ্বীপে হিন্দু ব্রাহ্মণের মুখাগ্নি করলেন মুসলমান ভাইরা
Nadia: কিন্তু দেহ সৎকার করবে কে? এই নিয়ে যখন নানা বিস্তর কল্পনা-জল্পনা চলছে, সেই সময় সৎকারে এগিয়ে এলেন সেখানকার মুসলমান ভাইরা। হিন্দু মতেই তাঁর মুখাগ্নি করে শেষকৃত সম্পূর্ণ করা হল। স্থানীয় সূত্রে খবর, নবদ্বীপ মহিশুরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আখমল শেখ ও জেলাপরিষদের সদস্যা আরজুবানু খাতুনের উদ্যোগে এই হিন্দু বৃদ্ধের সৎকার করা হয় নবদ্বীপ মহাশ্মশানে।

নবদ্বীপ: বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুকে জীবন্ত জ্বালিয়ে খুন। এই নিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলি প্রভাব ফেলার চেষ্টা করছে ভোটের বাংলাতেও। তবে এসবের মধ্যেও এই বাংলাতে আবারও ধর্মীয় সম্প্রীতির ছবি। গৌরাঙ্গ ভূমি নদিয়াতে হিন্দু ব্রাহ্মণ বৃদ্ধের সৎকার করতে এগিয়ে আসলেন গ্রামের মুসলমানরা। প্রসঙ্গত, এই ছবি এই বাংলায় নতুন নয়। বিভিন্ন জেলায় বহু ক্ষেত্রে দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকেই এগিয়ে আসতে দেখা যায় একে অপরের প্রয়োজনে। আজ আরও একবার দেখা গেল ঠিক সেই রকমই একটি ছবি।
হুগলির চুঁচুড়ার বাসিন্দার গোপাল গোস্বামী পেশায় হাইকোর্টের আইনজীবী। অবিবাহিত থাকায় পরবর্তীতে তাঁর মাকে নিয়ে নবদ্বীপের বসবাস শুরু করেছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পর তিনি একাই ছিলেন। গত তিন বছর ধরে তিনি মহিশুরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আখমল শেখের বাড়িতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, গত ২২ তারিখ তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে উপপ্রধান আখমল শেখ। গতকাল রাতে সেই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় গোপালের।
কিন্তু দেহ সৎকার করবে কে? এই নিয়ে যখন নানা বিস্তর কল্পনা-জল্পনা চলছে, সেই সময় সৎকারে এগিয়ে এলেন সেখানকার মুসলমান ভাইরা। হিন্দু মতেই তাঁর মুখাগ্নি করে শেষকৃত সম্পূর্ণ করা হল। স্থানীয় সূত্রে খবর, নবদ্বীপ মহিশুরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আখমল শেখ ও জেলাপরিষদের সদস্যা আরজুবানু খাতুনের উদ্যোগে এই হিন্দু বৃদ্ধের সৎকার করা হয় নবদ্বীপ মহাশ্মশানে। আজ নবদ্বীপ মহাশ্মশানে এসে স্থানীয় মুসলমান ভাইরা মুখে ‘বল হরি হরি বল’ বলে কাঁধে করে নিয়ে যান গোপালের দেহ। তারপর মুখাগ্নি করা হয় তাঁর। এই ঘটনায় জেলাপরিষদের সদস্যাকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, “বিজেপি হিন্দু মুসলিম করে। আমরা করি না। আমরা জানি হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই।”
