Sandeshkhali: ‘কালো জ্যাকেট পরে ওই গাড়ি চালাচ্ছিল…’, বাড়ি ফিরেই বিস্ফোরক ভোলা ঘোষ
Bholanath Ghosh: এদিনের দুর্ঘটনায় তাঁর ছোট ছেলের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। পুত্রশোকে তাঁর স্ত্রীর ব্রেন স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভোলা। সেই কারণেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সেখানে গিয়ে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। কে পরিকল্পনা করেছেন, কারা তাঁকে সরাতে চাইছেন? সেই সব অভিযোগপত্রে লিখে দিয়ে এসেছেন তিনি।

সন্দেশখালি: ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ভোলানাথ ঘোষের ছেলের। কোনও ক্রমে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। এসএসকেএমে চিকিৎসা চলে তাঁর। পরে সন্ধ্যায় ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। বাড়ি ফিরে ফের একবার ভোলা ঘোষ বললেন, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়, সবটাই পরিকল্পনা। তিনি গাড়ির সামনে বসেছিলেন, চালকের পাশে। পিছনে ছিল তাঁর ছেলে। ঘাতক গাড়িটি কে চালাচ্ছিল, সেটাও দেখতে পেয়েছিলেন তিনি।
এদিনের দুর্ঘটনায় তাঁর ছোট ছেলের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। পুত্রশোকে তাঁর স্ত্রীর ব্রেন স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভোলা। সেই কারণেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সেখানে গিয়ে ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। কে পরিকল্পনা করেছেন, কারা তাঁকে সরাতে চাইছেন? সেই সব অভিযোগপত্রে লিখে দিয়ে এসেছেন তিনি।
ভোলানাথের দাবি, ঘাতক ১০ চাকার ট্রাকটি কে চালাচ্ছিলেন, সেটা স্পষ্ট দেখতে পেয়েছেন তিনি। ভোলানাথ জানান, আলিম নামে এক ব্যক্তি গাড়ি চালাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। গাড়িতে আলিম ছিল। কালো জ্যাকেট পরে ও চালাচ্ছিল আমি দেখতে পেয়েছি।” যেহেতু তাঁর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল, তাই অনেকদিন থেকেই তাঁকে খুন করার চেষ্টা চলছিল বলে দাবি করেছেন ভোলা।
এদিন সকালেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গিয়ে ভোলানাথ বলেন, “বয়ারমারি পার হয়েছি ওই লরিটা সামনে যাচ্ছিল আমাদের গাড়ি এগোচ্ছিল। ডাইরেক্ট এসে আমার গাড়িতে মারল। তারপর আমার গাড়ি জলে চলে গেল। অজ্ঞান হয়ে গেলাম।” পুলিশের তদন্তেই তিনি ভরসা রাখছেন। আসল দোষীকে গ্রেফতার করা যাবে বলেই আশা রাখছেন তিনি। বলছেন, “আমার আর কোনও ভয় নেই, কারণ আমার আর হারানোর কিছু নেই।”
