উত্তর ২৪ পরগনা: ‘দ্রুত ময়নাতদন্ত করতে হবে, না হলে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়া হবে…’, তিলোত্তমার ময়ানতদন্তের জন্য নাকি এইভাবেই চাপ দিয়েছিলেন তাঁর এক ‘কাকা’। অন্তত তিনি নিজেকে তিলোত্তমার কাকা হিসাবেই পরিচয় দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে দেওয়া ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ অপূর্ব বিশ্বাসের এই দাবি এখন ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। এবার শিরোনামে উঠে এসেছে তিলোত্তমার সেই ‘কাকা’। এবার মুখ খুললেন তিনি। বললেন, ‘আমাকে ট্রিগার করা হচ্ছে!’ তিলোত্তমার ‘কাকা’ এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর। তিনি আসলে তিলোত্তমার প্রতিবেশী।
TV9 বাংলাকে ‘কাকা’ বললেন, “আমি প্রতিবেশী হিসাবে বার্নিং সার্টিফিকেটে স্বাক্ষর করেছিলাম। কারণ তিলোত্তমার বাবা-মা র সেই পরিস্থিতি ছিল না। আমি এমন কোনও কেউকেটা নই। যে আমার কথায় ময়নাতদন্ত তাড়াতাড়ি হয়ে গেলো।”
উল্টে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞকেই পাল্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তিনি। ‘কাকা’ বলেন, “যিনি বলছেন তিনি ভুল বলছেন।এক জন শিক্ষিত মানুষ হয়ে এইভাবে বলছেন এটা খুব লজ্জাজনক। বাড়ি ফিরে আইনের সাহায্য নিচ্ছি। কী করে এমন কথা উঠছে, তা বুজতে পারছি না।”
তাঁর আরও যুক্তি, “তিলোত্তমা আমার মেয়ের বয়সী। তার FIR আমি লিখে দিয়েছি।আমার যদি কোন অভিসন্ধি থাকত, তাহলে আমি তো FIR লিখতাম না। তিলোত্তমার বাড়ির কেউ অভিযোগ করছেন না তো?”
তবে সেই ‘কাকা’র দাপট এলাকায় কেমন? কী বলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, আসলে সিপিএম আমলের নেতা তিলোত্তমার ‘কাকা’ । তিনি এলাকার প্রাক্তন কাউন্সিলর। বর্তমানে তৃণমূল করেন। অন্তত তেমনটাই জানাচ্ছেন পড়শিরা। তিলোত্তমার পাড়ার এক বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় মানুষের পাশে থাকেন। আমরা তো খারাপ কিছু দেখিনি। এখন তো টিভিতে এসব দেখলাম। এখন তো অবাকই লাগছে। ওঁর মতো লোক কেন এমনটা বলতে গেলেন! ভেবে তো অবাকই লাগছে।”
আরেক যুবক বলেন, “লোক হিসাবে দেখেছি, আমরা এতদিন ধরে পাড়ায় রয়েছি। ওঁ তো ভালো মানুষ। ভালো লোক।” আরেক ব্যক্তি বললেন, “আমি চিনি। তবে কেমন লোক, এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” এখনও পর্যন্ত তিলোত্তমার ‘কাকা’ বাড়িতে নেই। তাঁর বাড়ির কেয়ারটেকার জানালেন, রবিবার থেকেই বাড়িতে নেই তিনি।