মেদিনীপুর: সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল দু’দিন আগে। এবার সেই সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে আসা দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ২ জন মহিলা। সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েই চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হল পুলিশেরও। তড়িঘড়ি পুলিশের গাড়িতে করে ওই দুই মহিলাকে ডেবরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধার করা হয়েছে একাধিক চোলাই মদ তৈরির সরঞ্জামের ড্রামও।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৪ নম্বর খানামোহনপুর গ্রামপঞ্চায়েত। সেখানকার চকরাধাবল্লভপুর এলাকায় সোমবার পুলিশ নমুনা সংগ্রহ করতে যায়। ওই সেপটিক ট্যাঙ্কের চেম্বার ভাঙা হয়। ড্রিলিং মেশিন চালাতেই চক্ষু চড়কগাছ। স্থানীয় বাসিন্দা সাহেব হাঁসদা বলেন, “দু’জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খুবই দুর্গন্ধ জলে। এত বাজে গন্ধ যে টেকা যাচ্ছে না পাড়ায়।”
এলাকায় চোলাই মদের ঠেক নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। যেদিন সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। সেদিন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (শিশু, নারী, জনকল্যাণ) শান্তি টুডু এ নিয়ে প্রকাশ্যেই বলেছিলেন। জানিয়েছিলেন, চোলাই মদের ঠেক আছে এলাকায়। পরিবারগুলিকে শেষ করে দিচ্ছে। ট্র্যাকিং সিস্টেম করার কথাও বলেন তিনি।
ডেবরা থানা এলাকায় শনিবার মৃত্যু হয় এক নাবালক-সহ তিনজনের। এলাকার লোকজন জানান, যে সেপটিক ট্যাঙ্কে এই ঘটনা ঘটে, সেখানে চোলাইয়ের সামগ্রী ছিল। তা তুলতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। তীব্র গ্যাসের কারণে দমবন্ধ হয়ে তিনজন মারা যান।