চন্দ্রকোনা: শ্রমিক সঙ্কটে একের পর এক হিমঘরের দরজা বন্ধ। পরিস্থিতি এমন যে বেশ কয়েকটি হিমঘরে দেখা যাচ্ছে, সকালে আলু রাখতে দিলে, বিকেলে আর নেওয়া হচ্ছে না। পূর্ব বর্ধমানের পর একই ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। এই এলাকাতেও আলুর ফলন বেশি। কিন্তু হিমঘরে সমস্যা দেখা দিলেই বিপদের আশঙ্কা থাকে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের।
চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ওই এলাকা ‘আলুর গড়’ নামে পরিচিত। চন্দ্রকোনায় একাধিক হিমঘর রয়েছে। বর্তমানে আলু তোলা শুরু হয়েছে সেখানে। আলুর দাম না থাকায় কৃষকরা হিমঘরে আলু সংরক্ষণের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। হিমঘরে আলু নিয়ে গিয়ে কৃষকরা পড়ছেন বিপাকে। হিমঘরে আলু রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কৃষকদের।
চন্দ্রকোনার বেশ কয়েকটি হিমঘরে দেখা যাচ্ছে, সকালে আলু নেওয়া হলে, বিকেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। হিমঘরের দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ফলে যেতে হচ্ছে অন্য আর এক হিমঘরে। সেখানে গিয়েও দেখা যাচ্ছে একই অবস্থা। আবারও অন্য হিমঘরের খোঁজ করে দূরে নিয়ে গিয়ে আনলোড করতে হচ্ছে আলু, আর তাতেই বাড়ছে খরচ।
হিমঘর কর্তৃপক্ষের দাবি, পর্যাপ্ত শ্রমিক না থাকায় আলু হিমঘরের চেম্বারে লোড করতে সময় লাগছে। সেই কারণেই তাদের গেট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পাশাপাশি যে সমস্ত আলু হিমঘরে মজুত করার জন্য আসছে, তা ৫০ কিলোর থেকে অনেক বেশি হওয়ায় শ্রমিকার বহন করতে পারছে না। অনেকেই কাজ ছেড়ে দিচ্ছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
‘ওয়েস্ট বেঙ্গল কোল্ডস্টোর অ্যাসোসিয়েশন’-এর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ সভাপতি শেখ জিয়াবুর রহমান জানান, রমজান মাস চলছে। ফলে, বেশিরভাগ শ্রমিক কাজে যাচ্ছেন না। কয়েকদিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের একাধিক জায়গায় এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। সেখানেও হিমঘর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আলু বোঝাই ট্রাকের লাইন পড়ে যাচ্ছে রাস্তায়। আলু হিমঘরে রাখার জন্য কৃষকরা দিন-রাত অপেক্ষা করছেন।