খড়্গপুর: লাইট পোস্টের নীচে হ্যালান দিয়ে বসে ছিল ছেলেটা। পাশেই রাখা ছিল হেলমেট। ডান হাতটা মুঠো করে রাখা ছিল। সামনের দোকানি মনে করেছিলেন, হয়তো এমনিই বলে ছেলেটা সিগারেট খাচ্ছে। বেশ কিছুক্ষণ ওই অবস্থাতেই বসে ছিল ছেলেটা। দেখেই সন্দেহ হয়। দেখেন, ঘাড়টা ডান দিকে কাত হয়েছে গিয়েছে। তখনও ভেবেছিলেন, হয়তো নেশা করেই পড়ে রয়েছে সে। কিন্তু সন্দেহ হয় একটা বিষয়েই। মুখে খানিকটা রক্ত লেগে ছিল। তাতেই টনক নড়ে স্থানীয়দের। মুখ থেকে কেন রক্ত? তবে কী…? সন্দেহ গাঢ় হতেই থানায় খবর দেন থানায়। পুলিশ গিয়ে দেখেন, ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে আগেই। খড়্গপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুরের বাসিন্দা এক বিটেক ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতের নাম শুভম দাস (২২)।
সুব্রত দাসের ছেলে শুভম চন্দ্রকোণা থেকে বি.টেক পড়তেন। পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার সকালে তাঁর ছেলে বাড়ি থেকে বের হন। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় তাঁরা মোবাইলে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু কোনওবারই ফোন ধরেননি শুভম। ফোনটা বারবার ব্যস্ত বলছিল। কিছুক্ষণ পর ফোন বন্ধ হয়ে যায় বলে জানান শুভমের বাবা।
কোনওভাবে খোঁজখবর না পেয়ে রাতে টাউন থানায় নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করেন তিনি। গভীর রাতে, পুলিশের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যায়, শুভমকে বলরামপুরে আইআইটির হাসপাতালের কাছে পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে সীমানা প্রাচীরের কাছে বসা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। যদিও পুলিশ গিয়ে তাঁকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি শুভমের। কিন্তু মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। কেউ তাঁকে বিষাক্ত পদার্থ খাইয়ে খুন করেছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা প্রশাসনের কাছে ঘটনার তদন্ত দাবি করেন।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine Conflict: রুশ মিসাইলের এবার নিশানায় মিলিটারি ক্যাম্পও, ফের ‘নো-ফ্লাই জ়োনে’র আর্জি জ়েলেনস্কির