Anis Khan Death: বেরিয়ে গিয়েছিল ঘিলু, ৯ টি গুরুত্বপূর্ণ আঘাত, কীভাবে মৃত্যু আনিসের? দ্বিতীয় রিপোর্ট কী বলছে?

Anis Khan Death: দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের চিকিৎসকরা কেবল বলেছেন, আনিসের মাথায় তাঁর গভীর ক্ষত রয়েছে। শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল। ৯টি আঘাতের কথা বলা হয়েছে, যেগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

Anis Khan Death: বেরিয়ে গিয়েছিল ঘিলু, ৯ টি গুরুত্বপূর্ণ আঘাত, কীভাবে মৃত্যু আনিসের? দ্বিতীয় রিপোর্ট কী বলছে?
আনিস খানের মামলায় উছল একাধিক প্রশ্ন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 14, 2022 | 9:46 AM

হাওড়া: আনিস মৃত্যুতে নয়া মোড়। TV9 বাংলার হাতে এল আনিসের ময়নাতদন্তের দ্বিতীয় রিপোর্ট। কী ভাবে আনিসের মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট করে জানালেন না ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা। অটোপসি সার্জেন্টদের কেবল মত, আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে আনিসের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, মাথার খুলির পিছনে আঘাত রয়েছে। খুলির পিছনে গভীর ক্ষত ছিল। শরীরের একাধিক জায়গায় হাড় ভাঙা ছিল। ময়নাতদন্তের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল, আনিসকে সেদিন কেউ ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিল, নাকি তিনি নিজে ছাদ থেকে দুর্ঘটনাবশত পড়ে গিয়েছেন। সেদিক থেকে আনিসের মাথার ক্ষতের ধরণ দেখেই বিশেষজ্ঞরা তা বুঝতে পারতেন। কিন্তু সেই বিষয়টি চিকিৎসকরা স্পষ্ট করে বলেননি।

দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের চিকিৎসকরা কেবল বলেছেন, আনিসের মাথায় তাঁর গভীর ক্ষত রয়েছে। শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল। ৯টি আঘাতের কথা বলা হয়েছে, যেগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুলির পিছন দিক থেকে ডান দিকের কানের ওপর পর্যন্ত গভীর ক্ষত রয়েছে। যেটি প্রথম ময়নাতদন্তেও উঠে এসেছিল। দুই নিতম্বে সমান্তরাল ভাবে আঘাতের পাশাপাশি, আঘাত রয়েছে মেরুদণ্ডেও। ডান দিকের কপালে ক্ষত রয়েছে। সেখানে রক্তক্ষরণে চিহ্ন রয়েছে। খুলির বাঁ দিকের হাড় ভেঙে গিয়েছে। সেখান থেকে ঘিলু বেরিয়ে পড়েছিল। বাঁ দিকের পাজরের এক ও দু হাড় ভেঙেছে। বাঁ দিকের কাঁধেরও হাড় ভাঙা ছিল। বাঁ হাতের হাড় ভাঙা। অর্থাৎ বাঁ দিকটা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রথম ময়নাতদন্তের পরও বিশেষজ্ঞরা মৃত্যুর কারণ সেভাবে বলেননি। তেমনি দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রেও সেটি বলা হয়নি। অর্থাৎ পড়ে গিয়েই মৃত্যু নাকি তাঁকে কেউ ধাক্কা মেরেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আনিসের দেহ উদ্ধারের পরই আমতা থানায় আনিসের পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করে। তখন থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন আনিসের দাদা-বাবা। প্রথম থেকেই পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করছিলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কারচুপি রয়েছে। এক্ষেত্রেও পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। মুখ্য়মন্ত্রীর হস্তক্ষেপের পর ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিট। দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর কী পদক্ষেপ করে পরিবার, সেটাই দেখার।

আরও পড়ুন: লুকিয়ে ছিল হোগলা বনে, জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে হাতেনাতে ধরা হল তৃণমূল কাউন্সিলরের ‘খুনি’কে

আরও পড়ুন:  পুরভোটের ফল ত্রিশঙ্কু হওয়াই কি কাল হল কংগ্রেস কাউন্সিলরের? ঝালদা-খুনে উঠছে প্রশ্ন